পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ماavه রবীন্দ্র-রচনাবলী মোট মোট পরোটা অার তিন পোয়াটাক ঘি বাংলাদেশের-হাওয়ায়-মাকুষ সইতে পারে কি । নাগরা জুতায় পা ছিড়ে যায়, পাগড়ি মুটের বোঝা, এগুলি কি সহ করা সোজা । তা ছাড়া এই রাজপুত্রের হিন্দি শুনে কেহ ജ്. হিন্দি বলেই করলে না সন্দেহ । ষেদিন দুরে শহরেতে চলছিল রামলীলা পাহারাট ছিল সেদিন ঢিলা । সেই স্কযোগে গৌড়বাসী তখনি এক দৌড়ে ফিরে এল গৌড়ে । চলে গেল সেই রাত্রেই ঢাকা— মাঝের থেকে চর পেয়ে যায় দশটি হাজার টাকা । কিন্তু, গুজব শুনতে পেলেম শেষে, কালে মোচড় খেয়ে টাকা ফেরত দিয়েছে সে ।” “কেন তুমি ফিরে এলে? চেচাই চারিপাশে, যোগীনদাদা একটু কেবল হাসে । তার পরে তো শুতে গেলেম, অাধেক রাত্রি ধ’রে শহরগুলোর নাম যত সব মাথার মধ্যে ঘোরে । ভারতভূমির সব ঠিকানাই ভুলি যদি দৈবে, যোগীনদাদার ভূগোল-গোলা গল্প মনে রইবে । অলিমোড়া জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৪ বুধু মাঠের শেষে গ্রাম, সাতপুরিয়া নাম । চাষের তেমন স্ববিধা নেই কৃপণ মাটির গুণে, পয়ত্রিশ ঘর তাতির বসত, ব্যাবসা জাজিম বুনে । নদীর ধারে খুঁড়ে খুঁড়ে পলির মাটি খুঁজে গৃহস্থের ফসল করে কাকুড়ে তরমুজে ।