পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী জিনিসপত্র আীর ষা ছিল দিল পাগল বিকে, সঁপে দিল তারই হাতে খোড়া কুকুরটিকে । ঠাকুর বললে মাথা নেড়ে, “অপাত্রে এই দান ! পরলোকের হারালো পথ, ইহলোকের মান ।” শাস্তিনিকেতন [ ? আষাঢ় ] ১৩৪৪ সুধিয়া গয়লা ছিল শিউনন্দন, বিখ্যাত তার নাম গোয়ালবাড়ি ছিল যেন একটা গোটা গ্রাম । গোরু-চরার প্রকাও খেত, নদীর ওপার চরে, কলাই শুধু ছিটিয়ে দিত পলি জমির পরে । জেগে উঠত চারা তারই, গজিয়ে উঠত ঘাস, ধেহদলের ভোজ চলত মাসের পরে মাস । মাঠটা জুড়ে বাধা হত বিশ-পঞ্চাশ চালা, জমত রাখাল ছেলেগুলোর মহোৎসবের পালা । গোপাষ্টমীর পর্বদিনে প্রচুর হত দান, গুরুঠাকুর গা ডুবিয়ে ছধে করত স্নান । তার থেকে সর ক্ষীর নবনী তৈরি হত কত, প্রসাদ পেত গণয়ে গায়ে গল্পলা ছিল যত । বছর তিলেক অনাবৃষ্টি, এল মস্বম্ভর , শ্রাবণ মাসে শোণনদীতে বান এল তার পর । ঘুলিয়ে বুলিয়ে পাকিয়ে পাকিল্পে গৰ্জি ছুটল ধারা, ধরণী চায় শূন্ত-পানে সীমার চিহ্নহারা । ভেসে চলল গোরু বাছুর, টান লাগল গাছে ; মাহুযে আর সাপে মিলে শাখা আঁকড়ে অাছে । বস্ত যখন নেমে গেল, বৃষ্টি গেল থামি— আকাশ জুড়ে দৈত্য-দেবের যুচল সে পাগলামি ।