পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছড়ার ছবি পড়া দিতেন, পড়া নিতেন মাস্টার মন্মথ । পড়তে পড়তে বারে বারে চোখ ষেত ওই দিকে, গোল হত সব বানানেতে, ভুল হত সব ঠিকে । অধৈৰ্ব অসহ্য হত, খবর কে তার জানে কেন আমার যাওয়া-আসা ওই কোণটার পানে । ছু মাস গেল মনে আছে, সেদিন শুক্রবার— ' অঙ্কুরটি দেখা দিল নবীন স্বকুমার । অক্ষ-কষার বারান্দাতে চুনস্বরকির কোণে অপূর্ব সে দেখা দিল, নাচ লাগালে মনে । আমি তাকে নাম দিয়েছি আতা গাছের খুকু, ক্ষণে ক্ষণে দেখতে যেতেম, বাড়ল কতটুকু ৷ ছুদিন বাদেই শুকিয়ে বেত সময় হলে তার, এ জায়গাতে স্থান নাহি ওর করত আবিষ্কার ; কিন্তু যেদিন মাস্টার ওর দিলেন মৃত্যুদণ্ড, কচিকচি পাতার কুঁড়ি হল খণ্ড খণ্ড, আমার পড়ার ক্রটির জন্তে দায়ী করলেন ওকে, বুক যেন মোর ফেটে গেল, অশ্রু করল চোখে । দাদা বললেন, কী পাগলামি, শান-বাধানো মেঝে, হেথায় আতার বীজ লাগানো ঘোর বোকামি এ ষে । আমি ভাবলুম, সারা দিনটা বুকের ব্যথা নিয়ে, বড়োদের এই জোর খাটানো অস্তায় নয় কি এ। মূৰ্খ আমি ছেলেমাস্থ্য, সত্য কথাই সে তো, একটু সবুর করলেই তা আপনি ধরা যেত। শ্রাবণ ১৩৪৪ মাকাল গৌরবর্ণ নধর দেহ, নাম ঐযুক্ত রাখাল, । জন্ম তাহার হয়েছিল সেই ষে-বছর আকাল । গুরুমশায় বলেন তারে, "বুদ্ধি ষে নেই একেবারে ; >°