পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Heb রবীন্দ্র-রচনাবলী ওই যে কারা পথে চলে, কেউ করে বিশ্রাম, নেই বললেই হয় ওরা সব, পোছে না কেউ নাম— তোমার কলম বললে, ওরা খুব আছে এই জেনো ; অমনি বলি, তাই বটে তো, সবাই চেলো-চেনে । ওরাই আছে, লেইকো কেবল বাদশা কিংবা নবাব ; এই ধরণীর মাটির কোলে থাকাই ওদের স্বভাব । অনেক খরচ ক’রে রাজা আপন ছবি আঁকায়, তার পানে কি রসিক লোকে কেউ কখনো তাকায় । সে-সব ছবি লাজে-সজ্জায় বোকার লাগায় ধাধা, আর এরা সব সত্যি মানুষ সহজ রূপেই বাধা । ওগো চিত্রী, এবার তোমার কেমন খেয়াল এ যে, একে বসলে ছাগল একটা উচ্চশ্ৰবা ত্যেজে । জন্তুটা তো পায় না খাতির হঠাৎ চোখে ঠেকলে, সবাই ওঠে ই ই ক’রে সবজি-খেতে দেখলে । আজ তুমি তার ছাগলামিট ফোটালে যেই দেহে এক মুহূর্তে চমক লেগে বলে উঠলেম, কে হে । ওরে ছাগলওয়ালা, এটা তোরা ভাবিস কার— অামি জানি, একজনের এই প্রথম আবিষ্কার । আলমোড়া জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৪ অজয় নদী এককালে এই অজয়নদী ছিল যখন জেগে শ্ৰেণতের প্রবল বেগে পাহাড় থেকে আনত সদাই ঢালি আপন জোরের গর্ব ক’রে চিকন-চিকন বালি । অচল বোঝা বাড়িয়ে দিয়ে যখন ক্রমে ক্রমে জোর গেল তার কমে,