পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У У о রবীন্দ্র-রচনাবলী তাদের হারিয়ে-যাওয়ার ব্যথায় টান লাগে না মনে, কিন্তু যখন চেয়ে দেখি সামনে সবুজ বনে ছায়ায় চরছে গোরু, মাঝ দিয়ে তার পথ গিয়েছে সরু, ছেয়ে আছে শুকনো বাশের পাতায়, হাট করতে চলে মেয়ে ঘাসের আঁঠি মাথায়, তখন মনে হঠাৎ এসে এই বেদলাই বাজে— ঠাই রবে না কোনোকালেই ওই যা-কিছুর মাঝে । ওই যা-কিছুর ছবির ছায়া ছলেছে কোনকালে শিশুর-চিত্ত-লাচিয়ে-তোলা ছড়াগুলির তালে— তিরপূর্নির চরে বালি ঝুরুঝুর করে, কোন মেয়ে সে চিকন-চিকন চুল দিচ্ছে ঝাড়ি, পরলে তার ঘুরে-পড়া ডুরে একটি শাড়ি । ওই যা-কিছু ছবির আভাস দেখি সাঝের মুখে মর্তধরার পিছু-ডাক দোল লাগায় বুকে । আলমোড়া জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৪ ভ্ৰমণী মাটির ছেলে হয়ে জন্ম, শহর নিল মোরে পোস্তপুত্ৰ ক’রে । ইটপাথরের আলিঙ্গনের রাখল আড়ালটিকে আমার চতুর্দিকে । মন রইত ব্যাকুল হয়ে দিবস রজনীতে মাটির স্পর্শ নিতে । বই প’ড়ে তাই পেতে হত ভ্রমণকারীর দেখা ছাদের উপর একা । কষ্ট তাদের, বিপদ তাদের, তাদের শঙ্কা যত লীগত লেশণর মতো ।