পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e রবীন্দ্র-রচনাবলীنیان ক’রে যেদিন আমি মহারাজের কাছে আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়েছিলুম তখন তিন দিন ধরে কৈলাসনাথের মন্দিরে কিসের জন্তে তপস্ত করেছি ? বিপাশা। আমি হলে জালদ্বরের বিনিপাতের জন্তে তপস্তা করতুম। স্বমিত্রা । এই শক্তি চেয়েছিলুম, রুত্রের প্রসাদে আমার বিবাহ যেন ভোগের না হয় । জালন্ধরের রাজগৃহে আমি কোনোদিন কিছুর জন্তেই ষেন লোভ না করি ; তবেই আমাকে অপমান স্পর্শ করতে পারবে না । இ. বিপাশা। কোনোদিন তোমার মন বিচলিত হয় নি, মহারানী ? স্বমিত্ৰা । প্রতিদিন হয়েছে— হাজারবার হয়েছে । বিপাশা। মাপ করো মহারানী, আমার সন্দেহ হয় তুমি তাকে অবজ্ঞা কর । স্বমিত্রা । অবজ্ঞা ! এমন কথা বলিস নে, বিপাশা। ওঁর মধ্যে তুচ্ছ কিছুই নেই। প্রচণ্ড ওঁর শক্তি— সে-শক্তিতে বিলাসের আবিলতা নেই, আছে উল্লাসের উদামত । আমি যদি সেই কুল-ভাঙা বন্যার ধারে এসে দাড়াতুম, তা হলে আমার সমস্ত কোথায় । ভেসে যেত, ধর্মকর্ম, শিক্ষাদীক্ষা । ওই শক্তির দুর্জয়তাকে অহরহ ঠেকাতে গিয়েই আমার মন এমন পাষাণ হয়ে উঠল । এত অজস্র দান কোনো নারী পায় না— এই দুর্লভ সৌভাগ্যকে প্রত্যাখ্যান করবার জন্তে নিজের সঙ্গে আমার এমন দুর্বিষহ দ্বন্ধ। মহারাজকে যদি অবজ্ঞা করতে পারতুম তা হলে তো সমস্তই সহজ হত। অস্তরে বাহিরে আমার দুঃখ যে কত দুঃসহ তা তিনিই জানেন র্যার কাছে ব্ৰত নিয়েছিলুম। বিপাশা। ব্ৰত যেন রাখলে, মহারানী, কিন্তু ভালোবাসা ! স্বমিত্রা। কী বলিস, বিপাশা। এই ব্ৰতই তো আমার ভালোবাসাকে বাচিয়ে রেখেছে, নইলে ধিক্কারের মধ্যে তলিয়ে যেত সে । প্রেম যদি লজ্জার_বিষয়_হয় । তবে তার চেয়ে তার বিনাশ কী হতে পারে। আমার প্রেমকে বাচিয়েছেন তপস্বী て下ート মৃত্যুঞ্জয়। বিবাহের হোমাগ্নি থেকে আমার এ প্রেম গ্রহণ করেছি— আহুতির আর অস্ত নেই। বিপাশা। নিষ্ঠুর তোমার দেবতা, আমি কিন্তু তাকে মানতে পারতুম না। স্থমিত্ৰা । কী করে জানলি । তিনি ডাক দিলেই তোকেও মানতে হত । কিন্তু বিপাশা, ব্রতের কথা প্রকাশ করা অপরাধ, আজ জন্তায় করলুম, ক্ষমা করুন আমার ব্ৰতপতি — বিপাশা । আমাকে ক্ষমা করো, মহারানী। কিন্তু কোথায় চলেছ । স্থমিত্রা । দেবদত্ত ঠাকুরের কাছে শুনলুম উৎসব উপলক্ষে দূরের থেকে প্রজারা