পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV)” রবীন্দ্র-রচনাবলী রক্তে রেখে গেছে ভাষা স্বপ্নে ছিল যাওয়া-আসা কোন যুগে কোন হাওয়ার পথে কোন বনে কোন সিন্ধুতীরে । এই স্বরে পরবাসে ওর বাশি আজ প্রাণে আসে । মোর পুরাতন দিনের পাখি ডাক শুনে তার উঠল ডাকি, চিত্ততলে জাগিয়ে তোলে অশ্রজলের ভৈরবীরে । নরেশ। বিপাশা, একটা কথা শুনতে চাই । বিপাশা। ওই তো তোমার লুব্ধ স্বভাব। বললে, একটি গান শুনতে চাই, যেমনি গান শেষ হল রব উঠেছে একটি কথা শুনতে চাই । একটি কথা থেকে দুটি কথা হবে, তার পর আমার কাজের বেলা যাবে চলে। আমি যাই । নরেশ । শোনো, শোনে, একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাও। ওই-ষে গাইলে ওটা কি সত্য । প্রবাসে বঁাশি কি বেজেছে । বিপাশা। অরসিক, কথা দিয়ে যার কাছে গান ব্যাখ্যা করতে হয় তাকে গান না শোনানোই ভালো । তুমি-যে অলংকার-শাস্ত্রের ছাত্রদেরও ছাড়িয়ে উঠলে। নরেশ । তবে থাক ব্যাখ্যা, গানই আমার যথেষ্ট । [ উভয়ের প্রস্থান রাজপুরাঙ্গন কালিন্দীর প্রবেশ । কালিন্দীর আপনমনে কাব্য আবৃত্তি o মঞ্জরী, গৌরীর প্রবেশ গৌরী । একা-একা কার সঙ্গে আলাপ চলছে ? বনদেবতার সঙ্গে ? কালিন্দী। না গো, মনোদেবতার সঙ্গে । মন্মথর স্তব কণ্ঠস্থ করছি। রাজার আদেশ । গৌরী। ওটা হৃদয়স্থ থাকলেই হয়, কণ্ঠে আনবার দরকার কী । কালিন্দী । হৃদয়ের পদচারণার পথ কণ্ঠে । 事 গৌরী। ওগো জালস্করিণী, এতদিন আছি, তোমাদের ধরনধারন আজও বুঝতে পারলুম না ।