পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8रे রবীন্দ্র-রচনাবলী দেবদত্ত। নিষ্কৃতির সন্ধুপায় পাপিষ্ঠ নিজেই জানে, আমাদের কিছুই করতে হবে না । স্বমিত্রা । ঠাকুর, তবে কিছুই করবে না ? দেবদত্ত। যদি সম্ভব হত নিজের অস্থি দিয়ে বজ্র তৈরি করে ওর মাথায় ভেঙে পড়তুম | স্বমিত্রা । তুমি বলতে চাও কিছুই করবার নেই? চুপ করে রইলে কেন ঠাকুর, লজ্জায় ? পাছে কিছু করতে হয় সেই ভয়ে ? আমি তো ধৈর্য রাখতে পারছি নে । বিপাশা, কী করছিল এখানে । বিপাশার প্রবেশ বিপাশা। অনঙ্গদেবের পূজায় মহারানীর জন্তে অৰ্ঘ্য সাজিয়ে এনেছি। স্বমিত্রা। ফেলে দে, ফেলে দে, দূর করে ফেলে দে সব । আমি যাব রুদ্রভৈরবের মন্দিরে, ঠাকুর, পূজা প্রস্তুত করে । দেবদত্ত। পুরোহিত ত্রিবেদীকে মহারাজ তার কাজে আজ নিযুক্ত করেছেন। স্বমিত্রা । তুমি হবে আমার পুরোহিত । দেবদত্ত। আমি পুরোহিত ? স্থমিত্রা। ই তুমি। নীরব যে, মনে কি ভয় আছে। দেবদত্ত। ভয় দেবতাকে । মুখে মন্ত্র পড়তে পারি, কিন্তু অস্তরের কথা যে অন্তর্যামী জানেন। কিন্তু মহারানী, ভৈরবের পূজায় তোমার কিসের প্রয়োজন । সুমিত্রা । দুর্বল মন, শক্তি চাই । বিপাশা | শক্তির দরকার যার সে তোমার নয়, সে মহারাজের। যে অসামান্ত রূপ নিয়ে এসেছ সংসারে তার কাছে রাজলক্ষ্মী হার মেনেছেন— সে জন্তে দোষ দেব কাকে । যদি ক্ষমা কর তো বলি, দোষ তোমারই । স্থমিত্রা। বুঝিয়ে বলো । বিপাশা। ওই যে কাশ্মীরের নরাধমদের রাজ্যের হৃৎপিণ্ডের উপর বসিয়েছেন রাজা, তার কারণ শুনবে ? রাগ করবে না ? স্বমিত্রা । কারণ শুনতেই চাই আমি । শি । প্রেমের_গৌরব খুব প্রকাও করে জানাতে চেয়েছিলেন রাজা, খুব দুর্মুল্য দান দুঃসাহসের সঙ্গে দিতে পারলে তিনি বাচতেন । এই সামান্ত কথাটা তুমি বুঝতে পার নি ?