পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

See - রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রথম । আমাদের গান শুনতে পেলেই দেখা দেবেন। গান। অম্লবৃত্তি পলাশকলি দিকে দিকে তোমার আখর দিল লিখে, চঞ্চলতা জাগিয়ে দিল অরণ্যে পর্বতে । দ্বিতীয়া । কিন্তু মহারাজ তো এলেন না— গোধূলিলগ্ন বয়ে যাচ্ছে। ওই তো দিগন্তে চাদের রেখা দেখা দিল । বিপাশা। লগ্ন এলেই কী আর গেলেই কী, আমাদের তাতে কী আসে যায় । গান থামাল নে। মহারাজ বলেছেন উৎসবকে জাগিয়ে রাখতে, একটুও যেন ম্ৰিয়মাণ না হয় । গান। অনুবৃত্তি আকাশপারে পেতে আছে একলা আসনখানি,— নিত্যকালের সেই বিরহীর জাগল অশোর বাণী । পাতায় পাতায় ঘাসে ঘাসে নবীন প্রাণের পত্র আসে, পলাশ-জবায় কনকচাপায় অশোকে অশ্বখে ॥ বিক্রমের প্রবেশ বিপাশা ৷ মহারাজ, সময় হয়েছে । বিক্রম। ই সময় হয়েছে– এবার ফেলে দাও এলব, দ’লে ফেলে দাও ধুলোয়। প্রথমা। মহারাজ কী করলেন, এ-ষে দেবতার মূর্তি । বিক্রম। এমন অক্ষম, এমন ব্যর্থ, এমন মিথ্যা, ওকে বল দেবতা ! বিড়ম্বনা ! এই আমি ওকে পায়ের তলায় দলছি। দ্বারী। দ্বারী । কী মহারাজ । বিক্রম | নিবিয়ে দিতে বলে দাও এইসব আলোর মালা । দ্বারের কাছে বাজিয়ে দাও রণভেরী । [ রাজা ও তরুণীগণের প্রস্থান নরেশের প্রবেশ নরেশ । বিপাশা, শুনে যাও। বিপাশা। কী, বলে ।