পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sow রবীন্দ্র-রচনাবলী ما يجمح" এই গান আমরা পাহাড়ে গাই বসন্তে যখন বরফ গলতে থাকে, ঝরনাগুলো বেরিয়ে পড়ে পথে-পথে । এই তো তার সময়— ফাঙ্কনের স্পর্শ লেগেছে পাহাড়ের শিখরে শিখরে, হিমালয়ের মৌন গেছে ভেঙে। । নরেশ । খুব খুশি হয়েছ, বিপাশা ? বিপাশা। খুব খুশি আমি। নরেশ । কোনো দুঃখই বাজছে না তোমার মনে ? বিপাশা। এমন মুখ কোথায় পাব, কুমার, যাতে কোনো দুঃখ নেই। নরেশ । বন্ধন তো কাটল, এখন তুমি কী করবে। বিপাশা। র্যার সঙ্গে ঘরে ছিলাম তার সঙ্গেই পথে বেরব । নরেশ । তোমাকেও অার ফেরাতে পারব না ? বিপাশা। কী হবে ফিরিয়ে বন্ধু । হয়তো বাধতে গিয়ে ভূল করবে। নরেশ । আচ্ছা যাও তুমি। আমার মন বলছে, মিলব একদিন। এখানে আমারও স্থান নেই। বিপাশা। কেন নেই, কুমার। নরেশ । মহারাজ স্থির করেছেন, কাশ্মীরে যুদ্ধযাত্রা করবেন— যুদ্ধে জয় করেই মহারানীকে ফিরিয়ে আনবেন। বিপাশা। সেও ভালো। এমনি রাগ করেও যদি রাজার পৌরুষ জাগে তো সেও ভালো । নরেশ । ভুল করছ বিপাশ । এ পৌরুষ নয়, এ অসংযম— ক্ষত্ৰিয়তেজ একে বলে না। যে উন্মত্ততায় এতদিন আপনাকে বিস্মৃত হতে লজ্জা পান নি এও সেই উন্মাদনারই রূপান্তর । কোনো আকারে মোহমাদকতা চাই, নিজেকে ভুলতেই হবে এই তার প্রকৃতি । মীনকেতুরই কেতনে রক্তের রঙ মাখাতে চলেছেন– কল্যাণ নেই। আমাকেও যেতে হল কাশ্মীরে। বিপাশা। লড়াই করতে ? নরেশ । মহারানীকে এই কথা জানাতে যে, ষার কাশ্মীরে যুদ্ধ করতে এসেছে তারা জালস্করের আবর্জনা, তাদের পাপে আমাদের সকলকে যেন তিনি অপরাধী না করেন । 爵 বিপাশা। যাবে তুমি ? সত্যি যাবে ? নরেশ । ই, সত্যি যাব। বিপাশা। তবে আমিও তোমার পথের পথিক ।