পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏔᏱo রবীন্দ্র-রচনাবলী চন্দ্রসেনকে রাজবিদ্রোহী বলে গণ্য করব । ওরে, তোরা তোরণে দেবদারুশাখার মালাগুলো শীঘ্র খাটিয়ে দে। ভেরীওয়ালাকে বল-না বাজিয়ে দিতে ভেরী । ১। সবাই এসে জড়ো হোক। এই-ষে মহীপাল– তোমাকে অত্যন্ত দরকার। মহীপাল। কেন, কী হয়েছে। ২ । সে কথা এখানে বলা চলবে না । চলো ওই দিকে । দেরি কোরো না । ১ । এইমাত্র একটা খবর পেয়েছি, চন্দ্ৰসেন এই দিকে আসছেন। বোধ করি অভিষেক ভেঙে দিতে । ২ । না, আমার বিশ্বাস, কৌশলে যুবরাজকে সতর্ক করে দিতে। চন্দ্রসেন আর সব করতে পারে কিন্তু কুমারকে ওরা বন্দী করে নিয়ে যাবে এ তিনি কখনোই সইবেন না। কিন্তু চল, আর দেরি না । [ সকলের প্রস্থান

  • আর-এক দল ১ । ব্যাপারখানা কী ভাই । . ২ । আকাশ থেকে পড়লে নাকি । ১ । সেইরকমই তো বটে । দুঃখের কথাটা বলি । জান তো পেটের দায়ে একদিন ঢুকেছিলুম খুড়ে রাজার প্রহরীর দলে । খুব মোটা মাইনে নইলে ওঁর কাজে লোক আসতে চায় না। স্ত্রীর গায়ে গহনা চড়ল— কিন্তু লজ্জায় সে ইদারায় জল আনতে যাওয়া বন্ধ করলে । আমাদের পাড়ায় থাকে কুন্দন ; সকলের নামে সে ছড়া কাটে। সে আমার নাম দিলে খুড়ো-গণেশের খুড়তুতো ইদুর । শুনে দেশস্কন্ধ লোক খুব হাসলে, আমি ছাড়া ।

৩ । বাহবা, ঠিক নামটা বের করেছে তোদের কুন্দন । দেশে খুড়তুতো ইছরের বাড়াবাড়ি হতে চলল। ঘরের ভিত পর্যন্ত ফুটো করে দিলে রে, দাত বগাচ্ছে সব-তাতেই, এইবার ওদের গর্তে লাগাব আগুন । তার পরে বুদ্ধ, পিঠে গণেশঠাকুরের শুড়-বুলোনি সইল না বুঝি। ১। অনেকদিন অনেক সহ করলুম। শেষকালে যেদিন খুড়োরাজা খুশি হয়ে আমাকে প্রহরীশালার সর্দার করে দিলে— সেইদিন পথের মধ্যে দেখা আমার ছোটোশালীর সঙ্গে। জান তাকে— ২ । জানি বৈকি। ওই তোদের রূপমতী, খালা মেয়ে রে! তোদের ছড়া-কাটিয়ে তাকেই তো বলে মৃত্যুশেল। ১। সে আমাকে দেখে বা পা দিয়ে মাটিতে এক লাথি মারলে, খুলে উড়িয়ে দিলে, পায়ের মল কম কম করে উঠল— মুখ বাকিয়ে চলে গেল। আর সইল না।