পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপতী Sఅ) ৩। হা হা হা হা । রাঙা পায়ের এক ৰায়ে খুড়তুতে ইস্কুরের লেজ গেল কাটা ! - ১ । দিলেম ফেলে আমার পাগড়ি প্রহরীশালার দ্বারে, চলে গেলেম উত্তরে মালখণ্ডে। গ্রীষ্মভোর ছাগল চরাই, শীতকালে রাজধানীতে নিয়ে আলি; কম্বল বিক্রি করি। পণ করেছি যখন হাতে কিছু টাকা হবে, পাগড়িতে লাগাব সোনার পাড়— ৰাব আমার শুশলীর বাড়িতে, সেই বা পায়ের লাথিটা সে ফিরিয়ে নেবে, তবে অল্প কথা । এই কথাই ভাবতে ভাবতে আসছিলেম ছাগলের পাল নিয়ে, যাচ্ছিলেম রাজধানীর দিকে । পথের মধ্যে একদল লোক ছাগলমৃদ্ধ আমাকে হৈঃ হৈঃ শব্দে খেদিয়ে নিয়ে এল এইখানে, বললে এই আমাদের রাজধানী এইখানে— এই উদয়পুরে । ২। মুখু, মনে রাথিস, আজ থেকে এর নাম উদয়পুর নয়, কুমারপুর। ১ । মনে রাখা শক্ত হবে ভাই, এখানে আমার দাদাশ্বণ্ডরের বাড়ি, চিরদিন জানি— ৩ । ভাবন কী, নতুন রাজত্বে তোর দাদাশ্বণ্ডরের নাম নতুন করে দেব। ১ । তা যেন দিলে, কিন্তু আমার ছাগলের মহাজন থাকে সেইখানটাতে যাকে রাজধানী বলে জানতুম। সে লোকটার কাছে দেনাও আছে পাওনাও আছে। নইলে তারও নাম বদল করে দিলে খুশি হতুম । ২ । আচ্ছা বেশ, খুড়োরাজের রাজত্বকালের জেনাটা কুমাররাজের রাজত্বকালে মাপ করে দেওয়া গেল । ১ । আর পাওনাটা ? ২ । সেটা পরে দেখা যাবে— সময়মতো । ১। পেটের তাগিদ সময় মানবে না, দাদা। তা যাই হোক, তোদের মুখের কথায় রাজধানী তৈরি হয় না তো ভাই, সেরকম চেহারা দেখছি নে । ৩ । সবই কি চোখে দেখতে হয় । মনে-মনে দেখ। f ১। কিন্তু ছাগলের দামটা মনে-মনে পেলে আমার চলবে না। কথাটা একটু বুঝিয়ে বলো, দাদা । ও। তবে শোন, কুমার এলেন তীর্থ থেকে, তবু খুড়োমহারাজ সিংহাসন আঁকড়েই রইলেন। দেখলুম, টানাটানি করতে গেলে রক্তারক্তি হবে । ঠিক করেছি এখানেই যুবরাজের রাজধানী বসিয়ে তাকে রাজা করব। আজই অভিষেক । ১। এই আখরোটের বনে ?