পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

პ oხ- রবীন্দ্র-রচনাবলী এ দিকে তখন দেশব্যাপী দুর্ভিক্ষে বঙ্গ বিহার উড়িষ্যা অস্থিচর্মলার হইয়া উঠিয়াছিল। বৈদ্যনাথ যখন অল্পের মধ্যে বলিয়া ভাবিতেছিলেন ‘আমার অল্প কে খাইবে’, তখন সমস্ত উপবাসী দেশ আপন রিক্তস্থালীর দিকে চাহিয়া ভাবিতেছিল *की शांड्रेट्' । ঠিক সেই সময়ে চারিমাল কাল ধরিয়া বৈদ্যনাথের চতুর্থ সহধর্মিী একশত ব্রাহ্মণের পাদোদক পান করিতেছিল এবং একশত ব্রাহ্মণ প্রাতে প্রচুর অন্ন এবং সায়াহ্নে অপর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান খাইয়া খুরি সর ভাড় এবং দধিস্থতলিপ্ত কলার পাতে মূনিসিপালিটির আবর্জনাশকট পরিপূর্ণ করিয়া তুলিতেছিল। অল্পের গন্ধে দুর্ভিক্ষকাতর বুভূক্ষুগণ দলে দলে দ্বারে সমাগত হইতে লাগিল, তাহাদিগকে সর্বদা খেদাইয়। রাখিবার জন্য অতিরিক্ত দ্বারী নিযুক্ত হইল। একদিন প্রাতে বৈদ্যনাথের মাৰ্বলমণ্ডিত দালানে একটি স্কুলোদর সন্ন্যাসী দুইসের মোহনভোগ এবং দেড়সের দুগ্ধ- সেবায় নিযুক্ত আছে, বৈদ্যনাথ গায়ে একখানি চাদর দিয়া জোড়করে একান্ত বিনীতভাবে ভূতলে বলিয়া ভক্তিভরে পবিত্র ভোজনব্যাপার নিরীক্ষণ করিতেছিলেন, এমন সময় কোনোমতে দ্বারীদের দৃষ্টি এড়াইয়া জীর্ণদেহ বালক-সহিত একটি অতি শীর্ণকায়া রমণী গৃহে প্রবেশ করিয়া ক্ষীণ স্বরে কহিল, “বাবু, দুটি খেতে দাও।” বৈদ্যনাথ শশব্যস্ত হইয়া চিৎকার করিয়া উঠিলেন, “গুরুদয়াল ! গুরুদয়াল |” গতিক মন্দ বুঝিয়া স্ত্রীলোকটি অতি করুণ স্বরে কহিল, “ওগো, এই ছেলেটিকে দুটি খেতে দাও । আমি কিছু চাই নে ৷” গুরুদয়াল আসিয়া বালক ও তাহার মাতাকে তাড়াইয়া দিল। সেই ক্ষুধাতুর নিরন্ন বালকটি বৈদ্যনাথের একমাত্র পুত্র। একশত পরিপুষ্ট ব্রাহ্মণ এবং তিনজন বলিষ্ঠ সন্ন্যাসী বৈদ্যনাথকে পুত্রপ্রাপ্তির দ্বরাশায় প্রলুব্ধ করিয়া তাহার অন্ন খাইতে লাগিল । द्नेछार्छ So &