পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৩

इञ ©e & এই তো পয়ার, এর প্রত্যেক প্রদক্ষিণে দুটি পদক্ষেপ। প্রথম পদক্ষেপে আটটি উচ্চারিত মাত্রা, দ্বিতীয় পদক্ষেপে ছয়টি উচ্চারিত মাত্রা এবং দুটি অঙ্গুচারিত অর্থাৎ যতির মাত্রা । অর্থাৎ, প্রত্যেক প্রদক্ষিণে মোটের উপর উচ্চারিত মাত্রা চোদ । আমরা পয়ারের পরিচয় দেওয়ার কালে প্রত্যেক প্রদক্ষিণের উচ্চারিত মাত্রার সমষ্টির হিসাব দিয়ে থাকি । তার প্রধান কারণ, কিছুকাল পূর্বে পয়ার ছাড়া চোঙ্গ মাত্র-সমষ্টির ছন্দ আমাদের ব্যবহারে লাগত না । নিম্নলিখিত চোদ মাত্রার ছন্দেও ঠিক পয়ারের মতোই প্রত্যেক প্রদক্ষিণে ছুটি করে পদক্ষেপ । , ফাগুন এল দ্বারে কেহ ষে ঘরে নাই, পরান ভাকে কারে ভাবিয়া নাহি পাই। অথচ এটা মোটেই পয়ার নয়। তফাত হল কিলে যাচাই করে দেখলে দেখা যাবে যে, এর প্রতি পদক্ষেপে আটের বদলে সাত উচ্চারিত মাত্রা । আর অহঙ্কারিত মাত্রা প্রতি পদক্ষেপের শেষে একটি করে দেওয়া যেতে পারে। যেমন— ফাগুন এল দ্বারে-এ কেহ যে ঘরে না-আ-ই । কিম্বা কেবল শেষ ছেদে একটি দেওয়া যেতে পারে। যেমন— ফাগুন এল দ্বারে কেহ যে ঘরে না-আ-ই । কিম্বা যতি একেবারেই না দেওয়া যেতে পারে। পুনশ্চ এই ছন্দেরই মাত্রাসমষ্টি সমান রেখে এরই পদক্ষেপমাত্রার পরিবর্তন করে যদি পড়া যায় তা হলে শ্লোকটি চোখে দেখতে একই রকম থাকবে কিন্তু কানে শুনতে অন্যরকম হবে। এইখানে বলে রাখি, ছন্দের প্রত্যেক ভাগে একটা করে তালি দিলে পড়বার সুবিধা হবে এবং এই তালি অনুসারে ভিন্ন ছন্দের ভিন্ন লয় ধরা পড়বে। প্রথমে সাত মাত্রাকে তিন এবং চারে স্বতন্ত্র ভাগ করে পড়া যাক । যেমন— छांजि छोणि छांजेि তালি ফাগুন এল দ্বারে কেহ ষে ঘরে নাই, পরান ভাকে কারে ভাবিয়া নাহি পাই । তার পরে পাচ-দুই ভাগ করা যাক । যেমন— एछांजि छांजि ভালি खांजि ফাওন এল बीरब्र কেহ যে ঘরে নাই, পরান ভগকে কারে ভাবিয়া নাহি পাই । এই চোদ মাত্র-সমষ্টির ছন্দ আরো কতরকম হতে পারে তার কতকগুলি নমুনা দেওয়া