পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्ब्ल లవt সারা দিবসের হায় যত কিছু আশা রজনীর কারাগারে হারাবে কি ভাষা । অমিত্রাক্ষর ছন্দে পয়ারের প্রবর্তন হয়েছে এই কারণেই । সে কোনো কোনো আদিম জীবের মতে বহুগ্রস্থিল, তাকে নষ্ট না করেও যেখানে-সেখানে ছিন্ন করা যায় । এই ছেদের বৈচিত্র্য থাকাতেই প্রয়োজন হলে সে পদ্য হলেও গদ্যের অবন্ধ গতি অনেকটা অনুকরণ করতে পারে। সে গ্রামের মেয়ের মতো ; যদিও থাকে অন্তঃপুরে, তবুও হাটে-ঘাটে তার চলাফেরায় বাধা নেই। উপরের দৃষ্টান্তগুলিতে ধ্বনির বোঝা হালকা। যুগ্মবর্ণের ভার চাপানো যাক । স্থরাঙ্গলা নন্দনের নিকুঞ্জপ্রাঙ্গণে মন্দারমঞ্জরি তোলে চঞ্চলকঙ্কণে । বেণীবন্ধ তরঙ্গিত কোন ছন্দ নিয়া, স্বৰ্গবীণা গুঞ্জরিছে তাই সন্ধানিয়া । আধুনিক বাংলা ছন্দে সবচেয়ে দীর্ঘ পয়ার আঠারো অক্ষরে গাথা । তার প্রথম যতি পদের মাঝখানে আট অক্ষরের পরে, শেষ যতি দশ অক্ষরের পরে পদের শেষে । এতেও নানাপ্রকারের ভাগ চলে । তাই অমিত্রাক্ষরের লাইন-ডিঙোনো চালে এর ধ্বনিশ্রেণীকে নানারকমে কুচকাওয়াজ করানো যায়। হিমাদ্রির ধ্যানে যাহা | স্তন্ধ হয়ে ছিল রাত্রিদিন সপ্তর্ষির দৃষ্টিতলে । বাক্যহীন স্তব্ধতায় লীন, সেই নিঝরিণীধারী। রবিকরস্পর্শে উচ্ছসিতা দিগিগস্তে প্রচারিছে । অন্তহীন আনন্দের গীতা । বাংলায় এই আর-একটি গুরুভারবহ ছন্দ। এরা সবাই মহাকাব্য বা আখ্যান বা চিস্তাগর্ভ বড়ো বড়ো কথার বাহন । ছোটো পয়ার আর এই বড়ো পয়ার, বাংলাকাব্যে এরা যেন ইন্দ্রের উচ্চৈঃশ্রব। আর ঐরাবত। অন্তত, এই বড়ো পয়ারকে গীতিকাব্যের কাজে খাটাতে গেলে বেমানান হয়। এর নিজের গড়নের মধ্যেই একটা সমারোহ আছে, সেইজন্তে এর প্রয়োজন সমারোহসূচক ব্যাপারে। ছোটো পয়ারকে চেচে-ছুলে হালকা কাজে লাগানো যায়, যেমন বঁাশের কঞ্চিকে ছিপ করা চলে। পয়ারের দেহসংস্থানেই গুরুর সঙ্গে লঘুর ষোগ আছে। তার প্রথম অংশে আট, দ্বিতীয় অংশে ছয় ; অর্থাৎ, হালের দিকে লে চওড়া কিন্তু দাড়ের দিকে সরু ; তাকে লিয়ে মাল-বওয়ানোও যায়, বাচ-খেলানোও চলে । বড়ো পয়ারের