পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्न्ल V)3X এই ছন্দের আবর্তন ছয় মাত্রার পর্যায়ে ঘটে না, তার কক্ষপথ সম্পূর্ণ হয়েছে ৯ মাত্রায় । নয় মাত্রায় তার প্রদক্ষিণ নিজেকে বারে বারে বহুগুণিত করছে । এই নয় মাত্রায় মাঝেমাঝে সমভাগে জোড়ের বিচ্ছেদ আছে। সেই জোড় ছয় মাত্রায় না, তিন মাত্রায় । এই ছন্দের লক্ষণ কী। প্রশ্নের উত্তর এই যে, এর পূর্ণভাগ নয় মাত্রা নিয়ে, আংশিক ভাগ তিন, এবং সেই প্রত্যেক ভাগের মাত্রাসংখ্যা তিন । কোনো পাঠক যদি ছয় মাত্রার পরে এলে ইপি ছাড়েন, তাকে বাধা দেবার কোনো দণ্ডবিধি নেই ; স্বতরাং সেটা তিনি নিজের স্বচ্ছন্দেই করবেন, আমার ছন্দে করবেন না। আমার ছন্দের লক্ষণ এই– প্রত্যেক পদে তিন কলা, প্রত্যেক কলায় তিন মাত্রা, অতএব সমগ্র পদের মাত্রাসমষ্টি ৯। অমূল্যবাবু এটিকে নিয়ে যে ছন্দ বানিয়েছেন তার প্রত্যেক পদে দুই কলা। প্রথম কলার মাত্রাসংখ্যা ছয়, দ্বিতীয় কলার তিন, অতএব সমগ্র পদের মাত্রাসমষ্টি ৯ । দুটি ছন্দেরই মোট আয়তন একই হবে, কানে শোনাবে ভিন্নরকম । ছান্দসিক যাই বলুন, এখানে ছন্দরচয়িতা হিসাবে আমার আবেদন আছে। ছন্দের তত্ত্ব সম্বন্ধে আমি যা বলি সেটা আমার অশিক্ষিত বল, স্বতরাং তাতে দোষ স্পর্শ করতে পারে ; কিন্তু ছন্দের রস সম্বন্ধে আমি যদি কিছু আলোচনা করি, সংকোচ করব না, কেননা ছন্দস্তুষ্টিতে অশিক্ষিতপটুত্বের মূল্য উপেক্ষা করবার নয়। আঁধার রজনী পোহালো’ রচনাকালে আমার কান যে আনন্দ পেয়েছিল সেটা অন্যছন্দোজনিত আনন্দ থেকে বিশেষভাবে স্বতন্ত্র । কারণটা বলি । অন্যত্র বলেছি, দুই মাত্রায় স্থৈর্য আছে, কিন্তু বেজোড় বলেই তিন মাত্রা অস্থির । ত্রৈমাত্রিক ছন্দে সেই অস্থিরতার বেগটাকে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয় । বিংশতি কোটি মানবের বাস a مقق এ ভারতভূমি যবনের দাস রয়েছে পড়িয়া শৃঙ্খলে বাধা । এ ছন্দে শব্দগুলি পরম্পরকে অস্থিরভাবে ঠেলা দিচ্ছে । একে জোড়মাত্রার ছন্দে রূপান্তরিত করা যাক । যেথায় বিংশতি কোটি মানবের বাস সেই তো ভারতবর্ষ ঘবনের দাস শৃঙ্খলেতে বাধা পড়ে আছে। এর চালটা শান্ত । আলোচ্য নয় মাত্রার ছন্দে তিন সংখ্যার অস্থিরতা শেষপর্যন্তই রয়ে গেছে। সেট উচিত নয়, ছয় মাত্রার পরে খামবার একটুখানি অবকাশ দেওয়া ভালো—এমন তর্ক