পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झ्मल ; , ס8ס পাঠকের রুচিতে যদি অনৈক্য হয় তবে কোনো আইন নেই যা নিয়ে নালিশ চলতে পারে। বর্তমান প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য এই যে, আমি যখন স্পষ্টতই আমার কোনো কীব্যের ছন্দকে নয় মাত্রার বলছি তখন সেটা অমুসরণ করাই বিহিত । হতে পারে তাতে কানের তৃপ্তি হবে না । না যদি হয় তবে সে দায় কবির। কবিকে নিন্দা করবার অধিকার সকলেরই আছে, তার রচনাকে সংশোধন করবার অধিকার কারো নেই। এই উপলক্ষে একটা গল্প মনে পড়ছে। গল্পটা বানানো নয়। পালামেনটে দর্শকদের বসবার আসনে দুটি শ্রেণীভাগ আছে। সম্মুখভাগের আসনে বলেন যারা খ্যাতনামা, পশ্চাতের ভাগে বলেন অপর-সাধারণ । দুই বিভাগের মাঝখানে কেবল একটিমাত্র দড়ি বাধা । একজন ভারতীয় দশক সেই সামনের দিক নির্দেশ করে প্রহরীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন : Can I go over there ? প্রহরী উত্তর করেছিল : ‘Yes, sir, you can but you mayn’t. ছন্দেও যতিবিভাগ সম্বন্ধে কোনো কোনো ক্ষেত্রে can-এর নিষেধ বলবান নয়, কিন্তু তবু mayর নিষেধ স্বীকার্য। একটা দৃষ্টান্ত দেখা যাক। পাঠকমহলে স্বনামখ্যাত পয়ার ছন্দের একটা পাকা পরিচয় আছে, এইজন্যে তার পদে কোথায় আধা যতি কোথায় পুরো যতি তা নিয়ে বচসার আশঙ্কা নেই। নিম্নলিখিত কবিতার চেহারা অবিকল পয়ারের। সেই চোখের দলিলের জোরে তার সঙ্গে পয়ারের চালে ব্যবহার অবৈধ হয় না । মাথা তুলে তুমি যবে চল তব রথে তাকাও না কোথা আমি ফিরি পথে পথে, অবসাদজাল মোরে ঘেরে পায় পায় । মনে পড়ে, এই হাতে নিয়েছিলে সেবা, তবু হায় আজ মোরে চিনিবে সে কেবা, . তোমারি চাকার ধুলা মোরে ঢেকে যায়। কিন্তু যদি পয়ার নাম বদলিয়ে এর নাম দেওয়া যায় ‘ষড়ঙ্গী এবং এর যথোচিত সংজ্ঞা নির্দেশ করি তা হলে বিনা প্রতিবাদে নিম্নলিখিত ভাগেই একে পড়া উচিত হবে । মাথা তুলে তুমি যবে চল তব রথে