পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৯

छ्व्ल 'Lar) উপরে দেখাইলাম বাংলাভাষার স্বাভাবিক ছন্দ কী। আর, যদি কখনো স্বাভাবিক দিকে বাংলা ছন্দের গতি হয় তবে ভবিষ্যতের ছন্দ রামপ্রসাদের ছন্দের অনুযায়ী হইবে । শ্রাবণ ১২৯৭ ংলা শব্দ ও ছন্দ বাংলা শব্দ-উচ্চারণের মধ্যে কোথাও বোক নাই, অথবা যদি থাকে সে এত সামান্ত যে তাহাকে নাই বলিলেও ক্ষতি হয় না। এইজন্যই আমাদের ছন্দে অক্ষর গণিয়া মাত্রা নিরূপিত হইয়াছে ! কথার প্রত্যেক অক্ষরের মাত্রা সমান। কারণ, কোনো স্থানে বিশেষ বোক না থাকাতে অক্ষরের বড়ো ছোটো প্রায় নাই । সংস্কৃত উচ্চারণে যে দীর্ঘহস্বের নিয়ম আছে তাহাও বাংলায় লোপ পাইয়াছে । এই কারণে উচ্চারণ-হিসাবে বাংলাভাষা বঙ্গদেশের সমতল-প্রসারিত প্রান্তরভূমির মতো সর্বত্র সমান । জিহবা কোথাও বাধা না পাইয়া ভাষার উপর দিয়া যেন একপ্রকার নিক্রিত অবস্থায় চলিয়া যায় ; কথাগুলি চিত্তকে পদে পদে প্রতিহত করিয়া অবিশ্রাম মনোযোগ জাগ্রত করিয়া রাখিতে পারে না । শব্দের সহিত শব্দের সংঘর্ষণে যে বিচিত্র সংগীত উৎপন্ন হয় তাহা সাধারণত বাংলাভাষায় অসম্ভব ; কেবল একতান কলধ্বনি ক্রমে সমস্ত ইন্দ্রিয়ের চেতনা লোপ করিয়া দেয়। একটি শব্দের সম্পূর্ণ অর্থ হৃদয়ংগম হইবার পূর্বেই অবিলম্বে আর-একটি কথার উপরে স্বলিত হইয়া পড়িতে হয়। বৈষ্ণব কবির একটি গান আছে— মন্দপবন, কুঙ্গভবন, কুসুমগন্ধ-মাধুরী। এই দুটি ছত্রে অক্ষরের গুরুলঘু নিরূপিত হওয়াতে এই সামান্ত গুটিকয়েক কথার মধুর ভাবে সমস্ত হৃদয় অধিকার করিয়া লয়। কিন্তু, এই ভাব সমমাত্ৰক ছন্দে নিবিষ্ট হইলে অনেকট নিফল হইয়া পড়ে। যেমন— মুদুল পবন, কুসুমকানন, ফুলপরিমল-মাধুরী। BBB BBBBB BB D DBB BBB DD DDS DDD DDDBBB DBBB BB এইমাত্র বুঝাইতেছে। l ՀծիՀ*