পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्भ Φινά خه* পশিবার পথ। অতএব, এই কানের কাছে যদি ছাড় মেলে তবে ওস্তাদকে কেন ডরাইব । আমার দৃষ্টাস্তগত ছন্দটিতে প্রত্যেক লাইনেই সবস্থদ্ধ ১১ মাত্রা আছে। কিন্তু এমন ছন্দ হইতে পারে যার প্রত্যেক লাইনে সমান মাত্রাবিভাগ নাই। যেমন— বাজিবে, সখী, বশি বাজিবে, হৃদয়রাজ হৃদে রাজিবে । বচন রাশি রাশি কোথা যে যাবে ভাগি, * অধরে লাজহাসি সাজিবে । নয়নে আঁখিজল করিবে ছলছল মুখবেদনা মনে বাজিবে । মরমে মুরছিয়া মিলাতে চাবে হিয়া সেই চরণযুগ-রাজীবে। ইহার প্রথম দুই লাইনে মাত্রা ভাগ ৩+ ৪ +৩- ১০ । তৃতীয় লাইনে ৩+৪+৩ +৪ – ১৪ । আমার মতে এই বৈচিত্র্যে ছন্দের মিষ্টতা বাড়ে । অতএব, উৎসাহ করিয়া গান ধরিলাম। কিন্তু, এক ফের ফিরিতেই তালওয়ালা পথ আটক করিয়া বসিল । সে বলিল, “আমার সমের মাস্থল চুকাইয়া দাও।” আমি তো বলি, এটা বে-আইনি আবোয়াব। কান মহারাজার উচ্চ আদালতে দরবার করিয়া খালাস পাই । কিন্তু, সেই দরবারের বাহিরে খাড়া আছে মাঝারি শাসনতন্ত্রের দারোগ। সে খপৃ করিয়া হাত চাপিয়া ধরে, নিজের বিশেষ বিধি খাটায়, রাজার দোহাই মানে না। কবিতায় ঘেটা ছন্দ, সংগীতে সেইটেই লয়। এই লয় জিনিসটি স্বষ্টি ব্যাপিয়া আছে, আকাশের তার হইতে পতঙ্গের পাখী পর্যন্ত সমস্তই ইহাকে মানে বলিয়াই বিশ্বসংসার এমন করিয়া চলিতেছে অথচ ভাঙিয়া পড়িতেছে না। অতএব, কাব্যেই কী গানেই কী, এই লয়কে যদি মানি তবে তালের সঙ্গে বিবাদ ঘটিলেও ভয় করিবার প্রয়োজন নাই । ७कः नृडेखि निक्के ব্যাকুল বকুলের ফুলে ভ্রমর মরে পথ ভুলে । আকাশে কী গোপন বাণী বাতাসে করে কানাকানি, বনের অঞ্চলখানি পুলকে উঠে জুলে দুলে ।