পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী سراسر دنیا চোতাল তো বারো মাত্রার ছন্দ। কিন্তু, এই বারো মাত্রা রক্ষা করিলেও চোতালকে রক্ষা করা যায় না এমন হয় । এই তো বারো মাত্রা— বনের পথে পথে বাজিছে বায়ে নূপুর রুহুরুত্ব কাহার পারে। কাটিয়া যায় বেলা মনের ভূলে, বাতাস উদাসিছে আকুল চুলে, ভ্রমরমুখরিত বকুলছায়ে নূপুর রুহুরুহু কাহার পারে। ইহ চোতালও নহে, একতালাও নহে, ধামারও নয়, বীপতালও নয় । লয়ের হিসাব দিলেও তালের হিসাব মেলে না । তালওয়ালা সেই গরমিল লইয়া কবিকে দায়িক করে। কিন্তু, হাল আমলে এ-সমস্ত উৎপাত চলিবে না । আমরা শাসন মানিব, তাই বলিয়া অত্যাচার মানিব না। কেননা, যে-নিয়ম সত্য সে-নিয়ম বাহিরের জিনিস নয়, তাহা বিশ্বের বলিয়াই তাহা আমার আপনার | যে-নিয়ম ওস্তাদের তাহা অামার ভিতরে নাই, বাহিরে আছে ; সুতরাং তাকে অভ্যাস করিয়া বা ভয় করিয়া বা দায়ে পড়িয়া মানিতে হয়। এইরূপ মানার দ্বারাই শক্তির বিকাশ বন্ধ হইয়া যায় । আমাদের সংগীতকে এই মানা হইতে মুক্তি দিলে তবেই তার স্বভাব তার স্বরূপকে নব নব উদভাবনার ভিতর দিয়া ব্যক্ত করিতে থাকিবে। త్రాtJ{ $9:8 ংস্কৃত-বাংলা ও প্রাকৃত-বাংলার ছন্দ সংস্কৃত-বাংলা এবং প্রাকৃত-বাংলার গতিভঙ্গিতে একটা লয়ের তফাত আছে। তার প্রকৃত কারণ প্রাকৃত-বাংলার দেহতত্বটা হসস্তের ছাচে, সংস্কৃত-বাংলার হলস্তের।’ অর্থাৎ, উভয়ের ধ্বনিস্বভাবটা পরস্পরের উলটো । প্রাকৃত-বাংলা স্বরবর্ণের মধ্যস্থত। থেকে মুক্ত হয়ে পদে পদে তার ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোকে অঁাট করে তোলে। স্বতরাং তার ছন্দের বুনানি সমতল নয়, তা তরঙ্গিত। সোজা লাইনের স্থতো ধরে বিশেষ কোনো প্রাকৃত-বাংলার ছন্দকে মাপলে হয়তো বিশেষ কোনো সংস্কৃত-বাংলার ছন্দের সঙ্গে সে বহরে সমান হতে পারে, কিন্তু স্বতোর মাপকে কি আদর্শ বলে ধরা যায়।

  • श्लख् शंका चब्रांख यtर्ष ●वंबूद्ध । 粤