পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8०९ রবীন্দ্র-রচনাবলী পদতলট গোড়ালি ছাড়াইয়া সামনের দিকে খানিকটা বিস্তীর্ণ ; সেইটুকুই ত্রিপদীর ওই শেষ ছুটে অতিরিক্ত মাত্রা । এইরূপ অনেকগুলি ছন্দ দেখা যায় যাহাতে খানিকটা করিয়া বড়ো মাত্রাকে একটি করিয়া ছোটো মাত্রা দিয়া বাধা দিবার কায়দা দেখা যায়। দশ মাত্রার ছন্দ তাহার দৃষ্টাস্ত। ইহার ভাগ আট+ছুই, অথবা চার+চার+ছুই— | | | মোর পানে । চাহ মুখ ৷ তুলি, | | | পরশিব । চরণের । ধূলি । ছয় মাত্রার ছন্দেও এরূপ বড়ো-ছোটোর ভাগ চলে। সেই ভাগ ছয় + দুই অথবা তিন+তিন+জুই । যেমন— আঁখিতে । মিলিল । আঁখি । হাসিল । বদন | ঢাকি । মরম- বারতা শরমে মরিল 幽 কিছু না রহিল বাকি । উক্ত ছন্দে তিনের দল বুক ফুলাইয়া জুড়ি মিলাইয়া চলিতেছিল, হঠাৎ মাঝে মাঝে একটা খাপছাড়া দুই আসিয়া তাহাদিগকে বাধা দিয়াছে। এইরূপে গতি ও বাধার মিলনে ছন্দের সংগীত একটু বিশেষ ভাবে বাজিয়া উঠিয়াছে। এই বাধাটি গতির অনুপাতে ছোটো হওয়া চাই । কারণ, বড়ো হইলে সে বাধা সত্য হয়, এবং গতিকে আবদ্ধ করে, সেটা ছন্দের পক্ষে দুর্ঘটনা। তাই উপরের দুইটি দৃষ্টাস্তে দেখিয়াছি চারের দল ও তিনের দলকে দুই আলিয়া রোধ করিয়াছে, সেইজন্ত ইহা বন্ধনের অবরোধ নহে, ইহা লীলার উপরোধ । দুইয়ের পরিবর্তে এক হইলেও ক্ষতি হয় না। যেমন— | | | প্রতিদিন হায় | এসে ফিরে যায় | কে । অথবা— | | | মুখে তার | নাহি আর র । | | | লাজে লীন৷ কাপে ক্ষীণ | গা । বাংলা ছন্দকে তিন প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায় । দুই বর্গের মাত্রা, তিন বর্গের