পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्न्ल 8●冰 আঁখির নাগাল এড়িয়ে পালায়, তখন রিক্ত শীর্ণ জীবন মম শুক রেখায় মিলিয়ে আসে বর্ষাশেষের নির্ঝরিণীসম শূন্ত বালুর একটি প্রান্তে ক্লাস্তবারি অন্ত অবহেলায়। তাই যারা আজ রইল পাশে এই জীবনের অপরাহ্ল-বেলায় তাদের হাতে হাত দিয়ে তুই গান গেয়ে নে থাকতে দিনের আলো— বলে নে ভাই, “এই যা দেখা, এই যা ছোওয়া, এই ভালো, এই ভালো । এই ভালো আজ এ-সংগমে কান্নাহাসির গঙ্গাযমুনায় ঢেউ খেয়েছি, ডুব দিয়েছি, ঘট ভরেছি, নিয়েছি বিদায় । এই ভালো রে প্রাণের রঙ্গে এই আসঙ্গ সকল অঙ্গে মনে পুণ্য ধরার ধুলো মাটি ফল হাওয়া জল তৃণ তরুর সনে । এই ভালো রে ফুলের সঙ্গে আলোয় জাগা, গান-গাওয়া এই ভাষায়, তারার সাথে নিশীথ-রাতে ঘুমিয়ে-পড়া নূতন প্রাতের আশায়।” এই জাতের সাধু ছন্দে আঠারো অক্ষরের আসন থাকে। কিন্তু, এটাতে কোনো কোনো লাইনে পচিশ পর্যন্ত উঠেছে। ফাস্ট ক্লাসের এক বেঞ্চিতে ছ-জনের বেশি বসবার হুকুম নেই কিন্তু থার্ড ক্লাসে ঠেলাঠেলি ভিড়, এ সেইরকম । কিন্তু, যদি এটা ছাপাও তা হলে লাইন ভেঙো না, তা হলে ছন্দ পড়া কঠিন হবে।. ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৩২৪ জীপ্যারীমোহন সেনগুপ্তকে লিখিত সংস্কৃত কাব্য-অম্বুবাদ সম্বন্ধে আমার মত এই যে, কাব্যধ্বনিময় গদ্যে ছাড়া বাংলা পদ্ধাচ্ছন্দে তার গাম্ভীর্য ও রস রক্ষা করা সহজ নয়। দুটি-চারটি শ্লোক কোনোমতে বানানো যেতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ কাব্যের অম্বুবাদকে স্বখপাঠ্য ও সহজবোধ্য করা দুঃসাধ্য। নিতান্ত সরল পয়ারে তার অর্থটিকে প্রাঞ্জল করা যেতে পারে। কিন্তু তাতে ধ্বনিসংগীত মারা যায়, অথচ সংস্কৃত কাব্যে এই ধ্বনিসংগীত অর্থসম্পদের চেয়ে বেশি বৈ কম নয় । মন্দাক্রান্ত ছন্মের আলোচনা-প্রসঙ্গে প্রবোধ বাঙালির কানের উল্লেখ করেছেন। বাঙালির কান বলে কোনো বিশেষ পদার্থ আছে বলে আমি মানি নে। মানুষের