পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ֆb- রবীন্দ্র-রচনাবলী হে অমল চন্দনগঞ্জিত, তন্থ রঞ্জিত হিমানীতে সিঞ্চিত স্বর্ণ তা হলে চতুষ্পাঠীর বহির্বতী পাঠকের দুশ্চিন্তা ঘটাত না । ৮ জুলাই ১৯৩৬ বাংলায় প্রাকৃহসন্ত স্বর দীর্ঘায়ত হয় এ কথা বলেছি। জল এবং জলা, এই দুটো শব্দের মাত্রাসংখ্যা সমান নয়। এইজন্যেই ‘টুমুল টুমুদ বাছি বাজে পদটাকে ত্রৈমাত্রিক বলেছি। টু-মু দুই সিলেবল, পরবর্তী হসন্ত স-ও এক সিলেবলএর মাত্রা নিয়েছে পূর্ববর্তী উ স্বরকে সহজেই দীর্ঘ ক’রে । ‘টুমু টুধু বাজা বাজে এবং ‘টুমুল টুমুল বাপ্তি বাজে এক ছন্দ নয় । ‘রণিয়া রণিয়া বাজিছে বাজনা’ এবং 'টুমুল টুমুদ বাপ্তি বাজে . এক ওজনের ছন্দ। দুটোই ত্রৈমাত্রিক । আমি প্রচলিত ছড়ার দৃষ্টান্তও দেখিয়েছি। ૨(t জুলাই ఏ39N9 প্রধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে লিখিত যখন কবিতাগুলি পড়বে তখন পূর্বাভ্যাসমত মনে কোরো না ওগুলো পষ্ঠ। অনেকে সেই চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে রুষ্ট হয়ে ওঠে । গদ্যের প্রতি গদ্যের সম্মানরক্ষা করে চলা উচিত। পুরুষকে স্বন্দরী রমণীর মতো ব্যবহার করলে তার মর্যাদাহানি হয় । পুরুষেরও সৌন্দর্য আছে, সে মেয়ের সৌন্দর্য নয়— এই সহজ কথাটা বলবার প্রয়াস পেয়েছি পরবর্তী পাতাগুলিতে । ২৬ আশ্বিন ১৩৩৯ २ পুনশ্চর কবিতাগুলোকে কোন সংজ্ঞা দেবে। পদ্য নয়, কারণ পদ নেই। গম্ভ বললে, অতিব্যাপ্তি দোষ ঘটে ৷ পক্ষিরাজ ঘোড়াকে পাখি বলবে না ঘোড়া বলবে ? গদ্যের পাখা উঠেছে এ কথা যদি বলি, তবে শত্রুপক্ষ বলে বলবে, পিপিড়ার পাখা ওঠে মরিবার তরে। জলে স্থলে যে সাহিত্য বিভক্ত, সেই সাহিত্যে এ জিনিসটা জল নয়, তাই বলে মাটিও নয়। তা হলে খনিজ বলতে দোষ আছে কি। সোনা বলতে