পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছড়ার ছবি লিচিলপুরের বলের থেকে ঝুলির মধ্যে ক’রে ভজহরি আীনত ফড়িঙ ধরে । পাড়ায় পাড়ায় যত পাৰি খাচীয় খাচীয় ঢাকা আওয়াজ শুনেই উঠত নেচে, ঝাপট দিত পাখ । কাউকে ছাতু, কাউকে পোক, কাউকে দিত ধান, অস্থখ করলে হলুদ্ধজলে করিয়ে দিত স্নান । 聪 ভজু বলত, “পোকার দেশে আমিই হচ্ছি দত্যি, আমার ভয়ে গঙ্গাফড়িঙ ঘুমোয় না একরত্তি । ঝোপে ঝোপে শাসন আমার কেবলই ধরপাকড়, পাতায় পাতায় লুকিয়ে বেড়ায় যত পোকামাকড় ।” একদিন সে ফাগুন মাসে মাকে এসে বলল, “গোধূলিতে মেয়ের আমার বিয়ে হবে কল্য ।” শুনে আমার লাগল ভারি মজা, এই অামাদের ভজা, এরও আবার মেয়ে অাছে, তারও হবে বিয়ে, রঙিন চেলির ঘোমটা মাথায় দিয়ে । স্বধাই তাকে, “বিয়ের দিলে খুব বুঝি ধুম হবে ?” ভজু বললে, “খাচার রাজ্যে লইলে কি মান রবে । কেউবা ওরা দাড়ের পাখি, পি জরেতে কেউ থাকে, নেমন্তক্স চিঠিগুলো পাঠিয়ে দেব ভাকে । মোটা মোট ফড়িঙ দেব, ছাতুর সঙ্গে দই, ছোলা আনিব ভিজিয়ে জলে, ছড়িয়ে দেব খই । এমনি হবে খুম, সাত পাড়াতে চক্ষে কারও স্নইবে না আর ঘুম । ময়নাগুলোর খুলবে গল, খাইয়ে দেব লঙ্কা ; কাকাতুয়া চীৎকারে তার বাজিয়ে দেবে ভক্ষণ । পায়রা যত ফুলিয়ে গল লাগবে ৰকৃৰকম ; শালিকগুলোর চড়া মেজাজ, আওয়াজ নানারকম ।