পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

', , '#' রবীন্দ্র-রচনাবলী ۰ده মহাপঞ্চক। খারাপ ! তার মানে কী হল ? পঞ্চক। জিনিসটা যতই পুরোনো হচ্ছে মন ততই লাগছে না, ভুল ততই করছি— ভুল যতই বেশি বার করছি ততই সেইটেই পাকা হয়ে যাচ্ছে। তাই, গোড়ায় তোমরা যেটা বলে দিয়েছিলে আর আজ আমি যেটা আওড়াচ্ছি, দুটোর মধ্যে অনেকটা তফাত হয়ে গেছে । চেনা শক্ত । মহাপঞ্চক। সেই তফাতটা ঘোচাতে হবে নির্বোধ। পঞ্চক। সহজেই ঘোচে, যদি তোমাদেরটাকেই আমার মতো করে নাও। নইলে আমি তো পারব না। মহাপঞ্চক। পারবে না কী! পারতেই হবে। পঞ্চক । তা হলে আর-একবার সেই গোড়া থেকে চেষ্টা করে দেখি– একবার মন্ত্রটা আউড়ে দিয়ে যাও । 邨 মহাপঞ্চক। আচ্ছা বেশ, আমার সঙ্গে আবৃত্তি করে যাও। ওঁ তট তট তোতয় তোতয় স্ফট স্ফট স্ফোটয় স্ফোটয় ঘুণ ঘুণ ঘুণাপয় ঘূণাপয় স্বর বসত্ত্বানি। চুপ করে রইলে যে ! পঞ্চক । ওঁ তট তট তেতিয় তোতয়— আচ্ছা দাদা । মহাপঞ্চক। আবার দাদা । মন্ত্রটা শেষ করে বলছি । পঞ্চক। একটা কথা জিজ্ঞাসা করি— এ মন্ত্রটার ফল কী ? মহাপঞ্চক। এ মন্ত্র প্রত্যহ সূর্যোদয়-স্থর্যাস্তে উনসত্তর বার করে জপ করলে নব্বই বৎসর পরমায়ু হয় । পঞ্চক। রক্ষা করো দাদা। এটা জপ করতে গিয়ে আমার এক বেলাকেই নব্বই বছর মনে হয়— দ্বিতীয় বেলায় মনে হয় মরেই গেছি। মহাপঞ্চক। আমার ভাই হয়েও তোমার এই দশা! তোমার জন্তে আমাদের এই অচলায়তনের সকলের কাছে কি আমার কম লজ্জা ! পঞ্চক। লজ্জার তো কোনো কারণ নেই দাদা । মহাপঞ্চক । কারণ নেই ? পঞ্চক । না । তোমার পাণ্ডিত্যে সকলে আশ্চর্য হয়ে যায়। কিন্তু তার চেয়ে ঢের বেশি আশ্চর্য হয় তুমি আমারই দাদা বলে। মহাপঞ্চক। এই বানরটার উপর রাগ করাও শক্ত। দেখে পঞ্চক, তুমি তো আর বালক নও— তোমার এখন বিচার করে দেখবার বয়স হয়েছে। পঞ্চক। তাই তো বিপদে পড়েছি। আমি যা বিচার করি তোমাদের বিচার