পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ט) אס পঞ্চক । আপনি কি এর উত্তর শুনতে চান ? 嶼 আচার্য । না না, থাকৃ, বোলো না। কিন্তু শোণপাংশুরা যে অত্যন্ত ম্লেচ্ছ । তাদের সহবাস কি— পঞ্চক । তাদের সম্বন্ধে আপনার কি কোনো বিশেষ আদেশ আছে । আচার্য। না না, আদেশ আমার কিছুই নেই। যদি ভুল করতে হয় তবে ভুল করো গে তুমি ভুল করো গে— আমাদের কথা শুনো না। আমাদের গুরু আসছেন পঞ্চক – তার কাছে তোমার মতো বালক হয়ে যদি বসতে পারি— তিনি যদি আমার জরার বন্ধন খুলে দেন, আমাকে ছেড়ে দেন, তিনি যদি অভয় দিয়ে বলেন আজ থেকে ভুল করে করে সত্য জানবার অধিকার তোমাকে দিলুম, আমার মনের উপর থেকে হাজার দু-হাজার বছরের পুরাতন ভার যদি তিনি নামিয়ে দেন ! পঞ্চক। ঐ উপাচার্য আসছেন— বোধ করি কাজের কথা আছে-- বিদায় হই । [ প্রস্থান উপাধ্যায় ও উপাচার্যের প্রবেশ উপাচার্য । ( উপাধ্যায়ের প্রতি ) আচার্যদেবকে তো বলতেই হবে। উনি নিতান্ত উদবিগ্ন হবেন— কিন্তু দায়িত্ব যে ওঁরই। আচার্য। উপাধ্যায়, কোনো সংবাদ অাছে নাকি ? উপাধ্যায়। অত্যস্ত মন্দ সংবাদ । আচার্য । অতএব সেটা সত্বর বলা উচিত । উপাচার্য। উপাধ্যায়, কথাটা বলে ফেলো। এ দিকে প্রতিকারের সময় উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের গ্রহাচার্য বলছেন আজ তিন প্রহর সাড়ে তিন দণ্ডের মধ্যে দ্ব্যাত্মকচরাংশলগ্নে যা-কিছু করবার সময়— সেটা অতিক্রম করলেই গোপরিক্রমণ আরম্ভ হবে, তখন প্রায়শ্চিত্তের কেবল এক পাদ হবে বিপ্র, অর্ধ পাদ বৈশ্য, বাকি সমস্তটাই শূদ্র । উপাধ্যায়। আচার্যদেব, সুভদ্র আমাদের আয়তনের উত্তর দিকের জানলা খুলে বাইরে দৃষ্টিপাত করেছে। আচার্য । উত্তর দিকটা তো একজটা দেবীর । উপাধ্যায়। সেই তো ভাবনা। আমাদের আয়তনের মন্ত্রঃপূত রুদ্ধ বাতাসকে সেখানকার হাওয়া কতটা দূর পর্যন্ত আক্রমণ করেছে বলা তো যায় না। উপাচার্য। এখন কথা হচ্ছে এ পাপের প্রায়শ্চিত্ত কী। আচার্য । আমার তো স্মরণ হয় না। উপাধ্যায় বোধ করি –