পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন מסיס পঞ্চক । আচ্ছা, নাহয় তোর চাষই করিস সেও কোনোমতে সহ হয়— কিন্তু কে বলছিল তোরা কাকুড়ের চাষ করিস । প্রথম শোণপাংশু। করি বৈকি। পঞ্চক। কাকুড় ! ছি ছি! খেসারিডালেরও চাষ করিস বুঝি ? তৃতীয় শোণপাংশু । কেন করব না ? এখান থেকেই তো কাকুড় খেসারিডাল তোমাদের বাজারে ষায় । পঞ্চক। তা তো যায়, কিন্তু জানিস নে কাকুড় আর খেসারিডাল যার চাষ করে তাদের আমরা ঘরে ঢুকতে দিই নে। প্রথম শোণপাংশু । কেন ? পঞ্চক। কেন কী রে । ওটা যে নিষেধ । প্রথম শোণপাংশু। কেন নিষেধ ? পঞ্চক। শোনো একবার | নিষেধ, তার আবার কেন ! সাধে তোদের মুখদর্শন পাপ ! এই সহজ কথাটা বুঝিস নে যে কাকুড় আর খেসারিডালের চাষটা ভয়ানক খারাপ । দ্বিতীয় শোণপাংশু। কেন ? ওটা কি তোমরা খাও না ? পঞ্চক। খাই বৈকি, খুব আদর করে থাই– কিন্তু ওটা যারা চাষ করে তাদের ছায়া মাড়াই নে । দ্বিতীয় শোণপাংশু। কেন ? क পঞ্চক। ফের কেন ! তোরা যে এতবড়ো নিরেট মুর্থ তা জানতুম না। আমাদের পিতামহ বিষ্কম্ভী কাকুড়ের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সে-খবর রাথিস নে বুঝি ? দ্বিতীয় শোণপাংশু। কাকুড়ের মধ্যে কেন ? পঞ্চক। আবার কেন ! তোরা যে ঐ এক কেন’র জালায় আমাকে অতিষ্ঠ করে তুললি। তৃতীয় শোণপাংশু। আর, খেসারির ডাল ? পঞ্চক। একবার কোন যুগে একটা খেসারিডালের গুড়ে উপবাসের দিন কোন এক মস্ত বুড়োর ঠিক গোফের উপর উড়ে পড়েছিল ; তাতে তার উপবাসের পুণ্যফল থেকে ষষ্টিসহস্র ভাগের এক ভাগ কম পড়ে গিয়েছিল ; তাই তখনই সেইখানে দাড়িয়ে উঠে তিনি জগতের সমস্ত খেসারিডালের খেতের উপর অভিশাপ দিয়ে গেছেন। এত বড়ে তেজ। তোরা হলে কী করতিস বল দেখি।