পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন ego যেমন করে চাইছে আকাশ তেমনি করে চাও গো । আজ হাওয়া যেমন পাতায় পাতায় মর্মরিয়া বনকে কাদায়, তেমনি আমার বুকের মাঝে কাদিয়া কাদাও গে। শুনছ দাদা, ঐ কাসর বাজছে । দাদাঠাকুর । ই বাজছে । পঞ্চক । আমার আর থাকবার জো নেই। দাদাঠাকুর । কেন । পঞ্চক। আজ আমাদের দীপকেতন পূজা । দাদাঠাকুর। কী করতে হবে। পঞ্চক। আজ ডুমুরতল থেকে মাটি এনে সেইটে পঞ্চগব্য দিয়ে মেখে বিরোচন মন্ত্র পড়তে হবে। তার পরে সেই মাটিতে ছোটো ছোটো মন্দির গড়ে তার উপরে ধ্বজ বসিয়ে দিতে হবে। এমন হাজারটা গড়ে তবে সূর্যাস্তের পরে জলগ্রহণ। দাদাঠাকুর । ফল কী হবে। পঞ্চক । প্রেতলোকে পিতামহদের ঘর তৈরি হয়ে যাবে। দাদাঠাকুর । যারা ইহলোকে আছে তাদের জন্তে— পঞ্চক। তাদের জন্তে ঘর এত সহজে তৈরি হয় না। চললুম ঠাকুর, আবার কবে দেখা হবে জানি নে। তোমার এই হাতের স্পর্শ নিয়ে চললুম— এ-ই আমার সঙ্গে সঙ্গে যাবে— এ-ই আমার নাগপাশ-বাধন আলগা করে দেবে। ঐ আসছে শোণপাংশুর দল— আমরা এখানে বসে আছি দেখে ওদের ভালো লাগছে না, ওরা ছট্‌ফট্‌ করছে। তোমাকে নিয়ে ওরা স্থটোপাটি করতে চায়— করুক, ওরাই ধন্ত, ওরা দিনরাত তোমাকে কাছে পায়। 匣 দাদাঠাকুর । হুটোপাটি করলেই কি কাছে পাওয়া যায়। কাছে আসবার রাস্তাটা কাছের লোকের চোখেই পড়ে না। শোণপাংশু দলের প্রবেশ প্রথম শোণপাংশু । ও কী ভাই পঞ্চক, যাও কোথায় ? পঞ্চক। আমার সময় হয়ে গেছে, আমাকে যেতেই হবে।