পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\O8b- রবীন্দ্র-রচনাবলী অধ্যেতা। স্থা। আমি স্বভদ্রকে হিজুমদন কুণ্ডে স্নান করিয়ে সবে উঠেছি এমন সময় পঞ্চক এসে তাকে কেড়ে নিয়ে গেল । মহাপঞ্চক। না, এই নরাধমকে নিয়ে আর চলল না। অনেক সহ করেছি। এবার ওকে নির্বাসন দেওয়াই স্থির। কিন্তু অধ্যেতা, তুমি এটা সহ করলে ? অধ্যেতা। আমি কি তোমার পঞ্চককে ভয় করি! স্বয়ং আচার্য অদীনপুণ্য এসে তাকে আদেশ করলেন, তাই তো সে সাহস পেলে । তৃণাঞ্চন। আচার্য অদীনপুণ্য! সঞ্জীব । স্বয়ং আমাদের আচার্য ! বিশ্বম্ভর । ক্রমে এ-সব হচ্ছে কী ! এতদিন এই আয়তনে আছি, কখনো তো এমন অনাচারের কথা শুনি নি। যে স্নাত তাকে তার ব্রত থেকে ছিন্ন করে আনা ! আর স্বয়ং আমাদের আচার্যের এই কীতি ! (? জয়োত্তম । তাকে একবার জিজ্ঞাসা করেই দেখা যাক-না। বিশ্বম্ভর । না না, আচার্যকে আমরা— মহাপঞ্চক। কী করবে আচার্যকে, বলেই ফেলো । বিশ্বম্ভর । তাই তো ভাবছি কী করা যায়। তাকে না হয়— আপনি বলে দিননা কী করতে হবে। মহাপঞ্চক । আমি বলছি তাকে সংযত করে রাখতে হবে। সঞ্জীব । কেমন করে ? মহাপঞ্চক। কেমন করে আবার কী ! মত্ত হস্তীকে যেমন করে সংযত করতে হয় তেমনি করে । জয়োত্তম । আমাদের আচার্যদেবকে কি তা হলে— মহাপঞ্চক। ইl, তাকে বন্ধ করে রাখতে হবে। চুপ করে রইলে যে ! পারবে না ? তৃণাঞ্জন। কেন পারব না। আপনি যদি আদেশ করেন তা হলেই— জয়োত্তম। কিন্তু শাস্ত্রে কি এর— মহাপঞ্চক। শাস্ত্রে বিধি আছে। তৃণাঞ্জন। তবে আর ভাবন কী ? উপাধ্যায়। মহাপঞ্চক, তোমার কিছুই বাধে না, আমার কিন্তু ভয় হচ্ছে। আচার্যের প্রবেশ আচার্য । বৎস, এতদিন তোমরা আমাকে আচার্য বলে মেনেছ, আজ তোমাদের