পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ტé8 রবীন্দ্র-রচনাবলী 8 দর্ভকপল্লী পঞ্চক। নির্বাসন, আমার নির্বাসন রে ! বেঁচে গেছি, বেঁচে গেছি। কিন্তু এখনো মনটাকে তার খোলসের ভিতর থেকে টেনে বের করতে পারছি নে কেন ! গান এই মৌমাছিদের ঘরছাড়া কে করেছে রে । তোরা অামায় বলে দে ভাই বলে দে রে । ফুলের গোপন পরানমাঝে নীরব স্বরে বাশি বাজে – ওদের সেই বঁাশিতে কেমনে মন হরেছে রে । যে মধুটি লুকিয়ে আছে & দেয় না ধরা কারো কাছে ওদের সেই মধুতে কেমনে মন ভরেছে রে । দর্ভকদলের প্রবেশ প্রথম দৰ্তক। দাদাঠাকুর । পঞ্চক। ও কী ও । দাদাঠাকুর বলছিস কাকে ? আমার গায়ে দাদাঠাকুর নাম লেখা হয়ে গেছে নাকি ? প্রথম দৰ্ভক। তোমাদের কী খেতে দেব ঠাকুর ? পঞ্চক । তোদের ষা আছে তাই আমরা খাব ৷ দ্বিতীয় দৰ্ভক। আমাদের খাবার ? সে কি হয় ? সে যে সব ছোওয়া হয়ে গেছে । পঞ্চক। সেজন্তে ভাবিস নে ভাই। পেটের খিদে যে আগুন, সে কারো ছোওয়া মানে না, সবই পবিত্র করে। ওরে, তোরা সকালবেলায় করিস কী বল তো। ষড়ক্ষরিত দিয়ে একবার ঘটগুদ্ধি করে নিবি নে ? তৃতীয় দৰ্ভক। ঠাকুর, আমরা নীচ দর্তকজাত— আমরা ও-সব কিছুই জানি নে। অাজ কতপুরুষ ধরে এখানে বাস করে আসছি, কোনোদিন তো তোমাদের পায়ের ধুলা পড়ে নি। আজ তোমাদের মন্ত্র পড়ে আমাদের বাপ-পিতামহকে উদ্ধার করে দাও ঠাকুর। পঞ্চক। সর্বনাশ ! বলিস কী ! এখানেও মন্ত্র পড়তে হবে । তা হলে নির্বাসনের দরকার কী ছিল ? তা, সকালবেলা তোরা কী করিস বল তো ?