পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন \రి\t মহাপঞ্চক । উপাধ্যায়, এই কি গুরু ? উপাধ্যায় । তাই তো শুনছি। মহাপঞ্চক। তুমি কি আমাদের গুরু ? দাদাঠাকুর। হঁ। তুমি আমাকে চিনবে না, কিন্তু আমিই তোমাদের গুরু। মহাপঞ্চক। তুমি গুরু ? তুমি আমাদের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে এ কোন পথ দিয়ে এলে ! তোমাকে কে মানবে ? দাদাঠাকুর । আমাকে মানবে না জানি, কিন্তু আমিই তোমাদের গুরু। মহাপঞ্চক। তুমি গুরু ? তবে এই শক্রবেশে কেন ? দাদাঠাকুর। এই তো আমার গুরুর বেশ। তুমি যে আমার সঙ্গে লড়াই করবে— সেই লড়াই আমার গুরুর অভ্যর্থনা । মহাপঞ্চক। কেন তুমি আমাদের প্রাচীর ভেঙে দিয়ে এলে। দাদাঠাকুর। তুমি কোথাও তোমার গুরুর প্রবেশের পথ রাখ নি। মহাপঞ্চক। তুমি কি মনে করেছ তুমি অস্ত্র হাতে করে এসেছ বলে আমি তোমার কাছে হার মানব । দাদাঠাকুর । না, এখনই না। কিন্তু দিনে দিনে হার মানতে হবে, পদে পদে। মহাপঞ্চক। আমাকে নিরস্ত্র দেখে ভাবছ আমি তোমাকে আঘাত করতে পারি নে ? দাদাঠাকুর। আঘাত করতে পার কিন্তু আহত করতে পার না— আমি যে তোমার গুরু । মহাপঞ্চক। উপাধ্যায়, তোমরা একে প্রণাম করবে নাকি ? উপাধ্যায়। দয়া করে উনি যদি আমাদের প্রণাম গ্রহণ করেন তা হলে প্রণাম করব বৈকি— তা নইলে যে— * মহাপঞ্চক । না, আমি তোমাকে প্রণাম করব না । দাদাঠাকুর । আমি তোমার প্রণাম গ্রহণ করব না— আমি তোমাকে প্রণত করব । مسج মহাপঞ্চক। তুমি আমাদের পূজা নিতে আস নি ? দাদাঠাকুর। আমি তোমাদের পূজা নিতে আসি নি, অপমান নিতে এসেছি। মহাপঞ্চক। তোমার পশ্চাতে অস্ত্রধারী এ কারা ? দাদাঠাকুর । এরা আমার অনুবতী— এরা শোণপাংশু । সকলে । শোণপাংশু !