পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অচলায়তন もやや উপাধ্যায়। এরাই আমাদের বাহির করে দেবে, সেই সম্ভাবনাটাই প্রবল বলে বোধ হচ্ছে । প্রথম শোণপাংশু । অচলায়তনের দরজার কথা বলছ— সে আমরা আকাশের সঙ্গে দিব্যি সমান করে দিয়েছি । উপাধ্যায়। বেশ করেছ ভাই। আমাদের ভারি অসুবিধা হচ্ছিল। এত তালাচাবির ভাবনাও ভাবতে হত ! মহাপঞ্চক। পাথরের প্রাচীর তোমরা ভাঙতে পার, লোহার দরজা তোমরা খুলতে পার, কিন্তু আমি আমার ইন্দ্রিয়ের সমস্ত দ্বার রোধ করে এই বসলুম— যদি প্রায়োপবেশনে মরি তবু তোমাদের হাওয়া তোমাদের আলো লেশমাত্র আমাকে স্পর্শ করতে দেব না । প্রথম শোণপাংশু। এ পাগলট কোথাকার রে! এই তলোয়ারের ডগা দিয়ে ওর মাথার খুলিট একটু ফাক করে দিলে ওর বুদ্ধিতে একটু হাওয়া লাগতে পারে। মহাপঞ্চক। কিসের ভয় দেখাও আমায় ? তোমরা মেরে ফেলতে পার, তার বেশি ক্ষমতা তোমাদের নেই। প্রথম শোণপাংশু। ঠাকুর, এই লোকটাকে বন্দী করে নিয়ে যাই– আমাদের দেশের লোকের ভারি মজা লাগবে । দাদাঠাকুর । ওকে বন্দী করবে তোমরা ? এমন কী বন্ধন তোমাদের হাতে আছে । দ্বিতীয় শোণপাংশু । ওকে কি কোনো শাস্তিই দেব না। দাদাঠাকুর । শাস্তি দেবে! ওকে স্পর্শ করতেও পারবে না। ও আজ যেখানে বসেছে সেখানে তোমাদের তলোয়ার পৌছয় না। বালকদলের প্রবেশ সকলে । তুমি আমাদের গুরু ? দাদাঠাকুর । হা, আমি তোমাদের গুরু। সকলে । আমরা প্রণাম করি । দাদাঠাকুর । বৎস, তোমরা মহাজীবন লাভ করো। প্রথম বালক। ঠাকুর, তুমি আমাদের কী করবে। দাদাঠাকুর। অামি তোমাদের সঙ্গে খেলব। সকলে । খেলবে !