পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় । 4〉》 ‘আমার ধর্ম প্রবন্ধে অচলায়তন-প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন— যে বোধে আমাদের আত্মা আপনাকে জানে সে বোধের অভু্যদয় হয় বিরোধ অতিক্রম ক’রে, আমাদের অভ্যাসের এবং আরামের প্রাচীরকে ভেঙে ফেলে। ষে বোধে আমাদের মুক্তি ‘দুর্গং পথস্তং কবয়ে বদস্তি’– দুঃখের দুর্গম পথ দিয়ে সে তার জয়ভেরী বাজিয়ে আসে— আতঙ্কে সে দিগ দিগন্ত কঁাপিয়ে তোলে। তাকে শত্রু বলেই মনে করি ; তার সঙ্গে লড়াই করে তবে তাকে স্বীকার করতে হয়। কেননা, নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ । অচলায়তনে এই কথাটাই আছে। মহাপঞ্চক। তুমি কি আমাদের গুরু। দাদাঠাকুর। হঁ। তুমি আমাকে চিনবে না, কিন্তু আমিই তোমাদের গুরু। মহাপঞ্চক। তুমি গুরু ? তুমি আমাদের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে এ কোন পথ দিয়ে এলে । তোমাকে কে মানৰে । দাদাঠাকুর । আমাকে মানবে না জানি, কিন্তু আমিই তোমাদের গুরু । মহাপঞ্চক । তুমি গুরু ? তবে এই শক্রবেশে কেন। দাদাঠাকুর । এই তো আমার গুরুর বেশ । তুমি যে আমার সঙ্গে লড়াই করলে— সেই লড়াই জামার গুরুর অভ্যর্থনা •• মহাপঞ্চক । আমি তোমাকে প্রণাম করব না। দাদাঠাকুর । আমি তোমার প্রণাম গ্রহণ করব না, আমি তোমাকে প্রণত করব । মহাপঞ্চক । তুমি আমাদের পুজা নিতে আস নি ? দাদাঠাকুর । আমি তোমাদের পূজা নিতে আসি নি, অপমান নিতে এসেছি। আমি তো মনে করি আজ যুরোপে যে যুদ্ধ বেধেছে সে ঐ গুরু এসেছেন বলে। তাকে অনেক দিনের টাকার প্রাচীর, মানের প্রাচীর, অহংকারের প্রাচীর ভাঙতে হচ্ছে। তিনি আসবেন বলে কেউ প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু তিনি যে সমারোহ করে আসবেন, তার জন্তে আয়োজন অনেক দিন থেকে फळछ्लि । —সবুজ পত্র। আশ্বিন-কাতিক ১৩২৪