পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& $8 ब्रवैौटअ-ब्रळ्नांवलौ অধিক তীক্ষ দৃষ্টির প্রয়োজন হয় না। আধুনিক বাংলাদেশে বেদব্যাস জন্মান নি, সে তার পুণ্যফলে । t অপর পক্ষ থেকে তর্ক করতে পারেন যে, সাহিত্যে সমাজধর্ম ও শাশ্বতধর্মের ক্রটি দেখা দেয়, তার শোকাবহ পরিণাম প্রমাণ করবার জন্তেই। অর্থাৎ, এইটুকু দেখাবার জন্যে যে স্থলনের পথ আরামের পথ নয়। কিন্তু দেখতে পাই, আজকাল তাতেও ভালোমানুষ লোকের ক্ষোভ-শাস্তি হয় না । ‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাসে সন্দীপ বা বিমলা গৌরবজনক সিদ্ধিলাভ করে নি, কিন্তু তবু লেখক সেদিন সমালোচকের দরবারে দণ্ড থেকে অব্যাহতি পেলেন না । তারস্বরে ফরমাশ এই যে, যেমন করেই হোক, শ্রেষ্ঠ আদর্শ রচনা করতেই হবে। ছেলেমানুষি আবদার একেই বলে, যে চায় লালায়িত রসন দিয়ে কেবলই চিনির পুতুল লেহন করতে। ‘দুই বোন গল্পটা সম্বন্ধে আমার নিজের ব্যাখ্যা কিছু শুনতে”চেয়েছ। গল্পের ভূমিকাতেই ভিতরের কথাটা ফাস করে দিয়েছি। সাধারণত মেয়ের পুরুষের সম্বন্ধে কেউ বা মা, কেউ বা প্রিয়া, কেউ বা দুইয়ের মিশোল। বাংলাদেশে অনেক পুরুষ আছে যারা বৃদ্ধবয়স পর্যন্তই মাতৃ-অঙ্কের আবহাওয়ায় স্বরক্ষিত। তারা স্ত্রীর কাছে মায়ের লালনটাই উপভোগ্য বলে জানে। বিবাহে যাবার আগে বর বলে যায়, মা, তোমার দাসী আনতে যাচ্ছি। অর্থাৎ স্ত্রী আসে মায়ের পরিশিষ্ট হয়ে— Alma Mater-এর পোস্ট গ্রাজুয়েট ছাত্রীর মতোই। ছেলে মায়ের কাছ থেকে আশৈশব যে-সকল সেবায় অভ্যস্ত বধু এসে তারই অনুবৃত্তিতে দীক্ষিত হয়। অল্প স্ত্রীই এমন সুযোগ পায় যাতে নিজের স্বতন্ত্র রীতিতেই স্বামীর পূর্ণতা সাধন করতে পারে, সংসারকে সম্পূর্ণ আপন প্রতিভায় নূতন করে তোলে। আবার এমন পুরুষও নিশ্চয়ই আছে যারা আর্দ্র অাদরের আবেশে আপাদমস্তক আচ্ছন্ন থাকতে ভালোই বাসে না । তারা স্ত্রীকে চায় স্ত্রীরূপেই, তারা চায় যুগলের অনুসঙ্গ। তারা জানে স্ত্রী যেখানে যথার্থ স্ত্রী, পুরুষ সেখানেই যথার্থ পৌরুষের অবকাশ পায়। নইলে তাকে লালনরসলালায়িত শিশুগিরি করতে হয়। মায়ের দাসীকে নিয়ে থাকার মতো এমন দৌর্বল্য পুরুষের জীবনে আর কিছু নেই। শশাঙ্ক স্ত্রীর মধ্যে নিত্যস্নেহসতর্ক মাকে পেয়েছিল। তাই তার অন্তর ছিল অপরিতৃপ্ত । এমন অবস্থায় উমি তার কক্ষপথে এসে পড়াতে সংঘাত