পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীতাঞ্জলি রহিয়া রহিয়া বিপুল মাঠের পরে নব তৃণদলে বাদলের ছায় পড়ে । এসেছে এসেছে এই কথা বলে প্রাণ, এসেছে এসেছে উঠতেছে এই গান, নয়নে এসেছে, হৃদয়ে এসেছে ধেয়ে । আবার আষাঢ় এসেছে আকাশ ছেয়ে । ১০ আষাঢ় ১৩১৭ У о о আজ বরষার রূপ হেরি মানবের মাঝে ; চলেছে গরজি, চলেছে নিবিড় সাজে । হৃদয়ে তাহার নাচিয়া উঠিছে ভীমা, ধাইতে ধাইতে লোপ ক’রে চলে সীমা, কোন তাড়নায় মেঘের সহিত মেঘে, বক্ষে বক্ষে মিলিয়া বজ্ৰ বাজে । বরষার রূপ হেরি মানবের মাঝে। পুঞ্জে পুঞ্জে দূর স্থদুরের পানে দলে দলে চলে, কেন চলে নাহি জানে । জানে না কিছুই কোন মহাদ্রিতলে গভীর শ্রাবণে গলিয়া পড়িবে জলে, নাহি জানে তার ঘনঘোর সমারোহে কোন সে ভীষণ জীবন-মরণ রাজে। বরষার রূপ হেরি মানবের মাঝে । ঈশান কোণেতে ওই যে ঝড়ের বাণী গুরু গুরু রবে কী করিছে কানাকানি । দিগন্তরালে কোন ভবিতব্যতা স্তন্ধ তিমিরে বহে ভাষাহীন ব্যথা, কালে কল্পনা নিবিড় ছায়ার তলে ꬃፃ