পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नॉहिनिकटन [? याबl;] »e88 ছড়ার ছবি ছেলের নামের অপমানে আপনি পাড়া ছাড়ি ডোমনি গেল ভিন গায়েতে পাততে নতুন বাড়ি । প্রতি মাসে আচল বুড়ি দামোদরের পারে মাসিকাবারের জিনিস নিয়ে দেখে আসত তারে । যখন তাকে খোঁটা দিল গ্রামের শতৃপিসে “রাই ডোমানির পরে তোমার এত দরদ কিসে।” বুড়ি বললে, “যারা ওকে দিল দুঃখরাশি তাদের পাপের বোকা আমি হালকা করে আসি ।” পাতানো এক নাতনি বুড়ির একজরি জ্বরে ভুগতেছিল স্বরূপগঞ্জে আপনি শ্বশুরঘরে । মেয়েটাকে বাঁচিয়ে তুলাল দিন রাত্রি জেগে, ফিরে এসে আপনি পড়ল রোগের ধাক্কা লেগে । দিন ফুরলো, দেবতা শেষে ডেকে নিল তাকেএক আঘাতে মােরল যেন সকল পীটাকে । অবাক হল দাদাঠাকুর, অবাক স্বরািপকাকাডোমিনিকে সব দিয়ে গেছে বুড়ির জমা টাকা । জিনিসপত্র আর যা ছিল দিল পাগল কিকে, সঁপে দিল তারই হাতে খোড়া কুকুরটিকে । ঠাকুর বললে মাথা নেড়ে, “অপাত্রে এই দান ! পরলোকের হারালো পথ, ইহলোকের মান ।” সুধিয়া গয়লা ছিল শিউনন্দন, বিখ্যাত তার নাম গোয়ালবাড়ি ছিল যেন একটা গোটা গ্ৰাম । গোরু-চরার প্রকাণ্ড খেত, নদীর ওপার চরে, কলাই শুধু ছিটিয়ে দিত পলি জমির ‘পারে। জেগে উঠত চারা তারই, গজিয়ে উঠত। ঘাস, ধেনুদলের ভোজ চলত মাসের পরে মাস । মাঠটা জুড়ে বাধা হত বিশ-পঞ্চাশ চালা, জমত রাখাল ছেলেগুলোর মহোৎসবের পালা । গোপটেমীর পর্বদিনে প্রচুর হত দান, গুরুঠাকুর গা ডুবিয়ে দুধে কল্পত জান । তার থেকে সার দীর নবনী তৈরি হত কত, প্ৰসাদ পেত গায়ে গায়ে গায়লা ছিল যত । ክrፂ