পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

à0 শান্তিনিকেতন Ver Yves 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী আপন ইচ্ছামতে যদি তোমার ঘরে থাকে তবে আমি এই মুহূর্তে রেখে যাব তাকে ৷” চোখ পাখিয়ে কয় দুনিটাদ, “পশুর আবার ইচ্ছে । গয়লা ভূমি, তোমার কাছে কে উপদেশ নিজেছ । গোল কয় তো ডাকব পুলিস ।” সামরু বললে, “ডেকো । ইকাসি। আমি ভয় করি নে, এইটে মনে রেখো । দশ বছরের জেল খাটিব, ফিরব তো তার পর, সেই কথাটাই ভেবো বসে, আমি চললেম ঘর ।” Σζξη রায়বাহাদুর কিষানলালের স্যাকরা জগন্নাথ, সোনারুপোর সকল কাজে নিপুণ তাহার হাত । আপন বিদ্যা শিখিয়ে মানুষ করবে। ছেলেটাকে এই আশপাতে সময় পেলেই ধরে আনত তাকে ; বসিয়ে রাখত চোখের সামনে, জোগান দেবার কাজে লাগিয়ে দিত যখন তখন ; আবার মাঝে মাঝে ছোটো মেয়ের পুতুল-খেলার গয়না গড়াবার ফরমাশেতে থাটিয়ে নিত ; আগুন ধারাবার সোনা গলাবার কর্মে একটুখানি ভুলে চড়াচাপড়টা পড়ত পিঠে, টান লাগাত চুলে । সুযোগ পেলেই পালিয়ে বেড়ায় মাধো যে কোনখানে ঘরের লোকে খুঁজে ফেরে বৃথাই সন্ধানে । শহরতলির বাইরে আছে দিঘি সাবেককেলে সেইখানে সে জোটায় যত লক্ষ্মীছাড়া ছেলে । শুলিডাণ্ডা খেলা ছিল, দোলনা ছিল গাছে, জানা ছিল যেথায় যত ফলের বাগান আছে । টাটুঘোড়ার পিঠে চড়ে ছোেটাত দাঁড়ােবড়ি ! রিটা তার সঙ্গে থাকত, নাম ছিল তার বটুগিরগিটি আর কাঠবেড়ালি তাড়িয়ে ফেরায় পটু ৷ শালিখা পাখির মহলেতে মাথোর ছিল যশ, ছাতুর গুলি ছড়িয়ে দিয়ে করত তাদের বশ । বেগার দেওয়ার কাজে পাড়ায় ছিল না তার মতো, বাপের শিক্ষানবিশিতেই কুঁড়োমি তার যত । কিযনলালের ছেলে, তাকে দুলাল ব'লে ডাকে, পাড়াসূদ্ধ ভয় করে এই বােদর ছেলেটাকে ।