পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

K SO38 ছড়ার ছবি আমি ভাবলুম, সারা দিনটা বুকের ব্যথা নিয়ে, বড়োদের এই জোর খাটানো অন্যায় নয় কি এ । মুখ আমি ছেলেমানুষ, সত্যকথাই সে তো, একটু সবুর করলেই তা আপনি ধরা যেত । মাকাল গৌরবর্ণনাধর দেহ, নাম শ্ৰীযুক্ত রাখাল, জন্ম তাহার হয়েছিল সেই যে-বছর আকাল । গুরুমশায় বলেন তারে, “বুদ্ধি যে নেই। একেবারে ; দ্বিতীয়ভাগ করতে সারা ছ'মাস ধরে নাকাল ।” রেগেমেগে বলেন, “বান্দর, নাম দিনু তোর মাকাল ।” নামটা শুনে ভাবলে প্ৰথম বাকিয়ে যুগল ভুরু ; তার পর সে বাড়ি এসে নৃত্য করলে শুরু । হঠাৎ ছেলের মাতন দেখি সবাই তাকে শুধায়, এ কী ! সকলকে সে জানিয়ে দিল, নাম দিয়েছেন গুরুনতুন নামের উৎসাহে তার বক্ষ দুরুদুরু । কোলের ‘পরে বসিয়ে দাদা বললে কানো-কানে, “গুরুমশায় গাল দিয়েছেন, বুঝিাস নে তার মানে ?” রাখাল বলে, “কখখোনো না, भा 6य आभाग्न दCजन्म 6नाना, সেটা তো গাল নয়। সে কথা পাড়ার সবাই জানে । আচ্ছা, তোমায় দেখিয়ে দেব, চলো তো ওইখানে ৷” টেনে নিয়ে গেল তাকে পুকুরপাড়ের কাছে, বেড়ার পরে লতায় যেথা মাকাল ফলে আছে। বললে, “দাদা সত্যি বোলো, সোনার চেয়ে মন্দ হল ? তুমি শেবে বলতে কি চাও, গালফলেছে গাছে।” “মাকাল আমি” বলে রাখাল দু হাত তুলে নাচে । দোয়াত কলম নিয়ে ছোটে, খেলতে নাহি চায় ; লেখাপড়ায় মন দেখে মা অবাক হয়ে যায় । බ් ඊ