लI s०88 ছড়ার ছবি झेिख् বইছে নদী বালির মধ্যে, শূন্য বিজন মাঠ, নাই কোনো ঠাই ঘাট । অল্প জলের ধারাটি বয়, ছায়া দেয় না। গাছে, GGR 3 রুক্ষ হাওয়ায় ধরার বুকে সূক্ষ্ম কঁাপন কঁপে চোখ-ধাধানো তাপে । কোথাও কোনো শব্দ-যে নেই তারই শব্দ বাজে বঁটা বঁটা করে সারাদুপুর দিনের বক্ষোমাঝে । আকাশ যাহার একলা অতিথি শুষ্ক বালুর ভূপে দিগবধূ রায় অবাক হয়ে বৈরাগিণীর রূপে । দূরে দূরে কাশের ঝোপে শরতে ফুল ফোটে, বৈশাখে ঝড় ওঠে । আকাশ ব্যেপে ভূতের মাতন বালুর ঘূর্ণি ঘোরে ; নীেকো ছুটে আসে না তো সামাল সামাল করে । বর্ষা হলে বন্যা নামে দূরের পাহাড় হতে, কুল-হারানো স্রোতে জলে স্থলে হয় একাকার ; দমকা হাওয়ার বেগে সওয়ায় যেন চাবুক লাগায় দৌড়-দেওয়া মেঘে । সারা বেলাই বৃষ্টিধারা ঝাপটি লাগায় যাবে মেঘের ডাকে সুর মেশে না ধেনুর হাম্বারবে । খেতের মধ্যে কলকলিয়ে ঘোলা স্রোতের জল ভাসিয়ে নিয়ে আসে না তো শ্যাওলা-পানার দল । রাত্রি যখন ধ্যানে বসে তারাগুলির মাঝে তীরে তীরে প্রদীপ জ্বলে না যে সমন্ত নিঃকুম জগাও নেই কোনোখানে, কোথাও নেই ঘুম । বাসাবাড়ি এই শহরে এই তো প্ৰথম আসা । আড়াইটা রাত, খুঁজে বেড়াই কোন ঠিকানায় বাসা । লণ্ঠনটা বুলিয়ে হাতে আন্দাজে যাই চলি, অজগরের ভূতের মতন গলির পরে গলি । ধাধা ক্রমেই বেড়ে ওঠে, এক জায়গায় থেমে দেখি পথের বা দিক থেকে ঘাট গিয়েছে নেমে । 冷气
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।