পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SY 8 শান্তিনিকেতন Ge | Y O VSA শান্তিনিকেতন r) SROA রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী yr রঙ্গমকে একে একে নিবে গেল। যবে দীপশিখা, রিক্ত হল। সভাতল, ঔআবারের মসী-অবলেপে স্বপ্নািচ্ছবি-মুছে-যাওয়া সুবুত্তির মতো শান্ত হল চিত্ত মোর নিঃশব্দের তর্জনীসংকেতে । এতকাল যে সাজে রচিয়াছিনু আপনার নাট্যপরিচয় প্রথম উঠিতে যবনিকা, সেই সাজ মুহুর্তেই হল নিরর্থক । চিহ্নিত করিয়াছিনু আপনারে নানা চিহ্নে, নানা বর্ণপ্রসাধনে সহস্রোর কাছে, মুছিল তা, আপনাতে আপনার নিগৃঢ় পূর্ণতা আমারে করিল। অন্তৱন্ধ, সূর্যান্তের অন্তিম সৎকারে দিনান্তের শূন্যতায় ধরার বিচিত্র চিত্ৰলেখা যখন প্রচ্ছন্ন হয়, বাধা মুক্ত আকাশ যেমন নির্বক বিস্ময়ে অন্তৰন্ধ তারাদীিপ্ত আত্মপরিচয়ে । à) দেখিলাম।-- অবসর চেতনার গোধূলিবেলায় দেহ মোর ভেসে যায় কালো কালিন্দীর স্রোত বাহি নিয়ে অনুভূতিপুঞ্জ, নিয়ে তার বিচিত্র বেদনা, চিত্ৰ-করা আচ্ছাদনে আজন্মের স্মৃতির সঞ্চয়, নিয়ে তার বাশিখানি । দূর হতে দূরে যেতে যেতে স্নান হয়ে আসে তার রূপ, পরিচিত তীরে তীরে তরুচ্ছায়া-আলিঙ্গিত লোকালয়ে ক্ষীণ হয়ে আসে সন্ধ্যা-আরতির কবনি, ঘরে ঘরে রুদ্ধ হয় জ্বার, ঢাকা পড়ে দীপশিখা, খেয়া নৌকা বাধা পড়ে ঘাটে । দুই তটে ক্ষান্ত হল পারাপার, ঘানালো রজনী, বিহঙ্গের মেীনগান অরণ্যের শাখায় শাখায় মহানিঃশব্দের পায়ে রচি দিল আত্মবলি তার । স্থলে জলে । ছায়া হয়ে, বিন্দু হয়ে মিলে যায়৷ দেহ অন্তহীন তমিশ্ৰায় । নক্ষত্ৰবেদীর তলে আসি এক অন্তৱন্ধ দাড়াইয়া, উদ্ধের্ব চেয়ে কহি জোড় হাতেহে পূবন, সংহরণ করিয়াছ তব রশ্মিজাল, এবার প্রকাশ করো তোমার কল্যাণতম রােপ, দেখি তারে যে পুরুষ তোমার আমার মাঝে এক ।