পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন br| S) S!©ፄ প্ৰান্তিক yo মৃত্যুদূত এসেছিল হে প্ৰলয়ংকর, অকস্মাৎ তব সভা হতে । নিয়ে গেল বিরাট প্রাঙ্গলে তব ; চক্ষে দেখিলাম অন্ধকার ; দেখিনি অদৃশ্য আলো আঁধারের অন্তরে অন্তরে অন্তরে অন্তরে, যে আলোক আমার আপনি হুয়া । সেই আলোকের সামগান মন্দ্ৰিয়া উঠিবে মোর সত্তার গভীর গুহা হতে সৃষ্টির-সীমান্ত-জ্যোতিলোকে, তারি লাগিছিল মোর আমন্ত্ৰণ । লব আমি চরমের কবিত্বমৰ্যাদা জীবনের রঙ্গভূমে, এরি লাগি সেধেছিনু তান । বাজিল’না রুদ্রবীণা নিঃশব্দ ভৈরব নবরাগে, জাগিল না মর্মতলে ভীষণের প্রসন্ন মুরাতি, তাই ফিরাইয়া দিলে । আসিবে আরেক দিন যাবে তখন কবির বাণী পরিপক্ক ফলের মতন নিঃশব্দে পড়িবে খসি আনন্দের পূর্ণতার ভারে অনন্তের অর্ঘ্য ডালি-"পারে । চরিতার্থ হবে শেষে জীবনের শেষ মূল্য, শেষ যাত্রা, শেষ নিমন্ত্রণ। Σ Σ কলরবমুখরিত খ্যাতির প্রাঙ্গণে যে আসন পাতা হয়েছিল কবে, সেথা হতে উঠে এসো কবি, পূজা সাঙ্গ করি দাও চাটুলুব্ধ জনতাদেবীরে বচনের অর্ঘ্য বিরচিয়া । দিনের সহস্র কণ্ঠ ক্ষীণ হয়ে এল ; যে প্রহরগুলি কবনিপণ্যবাহী নোঙর ফেলেছে তারা সন্ধ্যার নির্জন ঘাটে এসে । আকাশের আঙিনায় শান্ত যেথা পাখির কাকলি সুরসভা হতে সেথা নৃত্যপরা অন্সরকন্যার বাম্পো-বোনা চেলাঞ্চল উড়ে পড়ে, দেয় ছড়াইয়া স্বর্গোজল বৰ্ণরশ্মিচছটা । চরম ঐশ্বৰ্য নিয়ে অন্তলগনের, শূন্য পূর্ণ করি এল চিত্ৰভানু, দিল মোরে করম্পর্শ, প্রসারিল দীপ্ত শিল্পকলা অন্তরের দেহলিতে, গভীর অদৃশ্যলোক হতে ইশারা ফুটিয়া পড়ে তুলির রেখায় । আজন্মের বিচ্ছিন্ন ভাবনা যত, স্রোতের সেঁউলি-সম যারা নিরর্থক ফিরেছিল অনিশ্চিত হওয়ায় হাওয়ায়, রূপ নিয়ে দেখা দেবে ভাটার নদীর প্রান্ততীরে অনাদৃত মজয়ীর অজানিত আগাছার মতো Σ Σ. Οι