পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y SN9 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী নানা দিকে নানা পথে, আজ তার অর্থ গোল কমে ছুটির গোধূলিবেলা তন্দ্ৰালু আলোকে । তাই ক্রমে ফিরায়ে নিতে ছ শক্তি, হে কৃপণা, চক্ষুকৰ্ণ থেকে আড়াল করিছ। স্বচ্ছ আলো ; দিনে দিনে টানিছে কে নিম্প্রভ নেপথ্যপানে । আমাতে তোমার প্রয়োজন শিথিল হয়েছে, তাই মূল্য মোর করিছ। হরণ, তোমার অবজ্ঞা মোরে পারে না ফেলিতে দূরে টানি । তব প্রয়োজন হতে অতিরিক্ত যে মানুষ তারে দিতে হবে চরম সম্মান তব শেষ নমস্কারে । যদি মোরে পলু কর, যদি মোরে কর অন্ধপ্রায়, যদি বা প্ৰচ্ছন্ন কর নিঃশক্তির প্রদোষচ্ছায়ায়, বাধ বাধক্যের জালে, তবু ভাভা মন্দিরবেদীতে প্ৰতিমা অক্ষুদ্র রবে সগৌরবে ; তারে কেড়ে নিতে শক্তি নাই তব । VSTTIST VESTTET, TS5 RPGITT VESNP, জীৰ্ণতার অন্তরালে জানি মোর আনন্দস্বরূপ রয়েছে উজ্জ্বল হয়ে । সুধা তারে দিয়েছিল আনি প্রতিদিন চতুদিকে রাসপূৰ্ণ আকাশের বাণী ; প্ৰত্যুত্তরে নানা ছন্দে গেয়েছে সে “ভালোবাসিয়াছি । সেই ভালোবাসা মোরে তুলেছে স্বগের কাছাকাছি ছাড়ায়ে তোমার অধিকার । আমার সে ভালোবাসা সব ক্ষয়ক্ষতিশেষে অবশিষ্ট রবে ; তার ভাষা হয়তো হারাবে দীপ্তি অভ্যাসের মানম্পর্শ লেগে, তবু সে অমৃতরােপ সঙ্গে রবে। যদি উঠি জেগে মৃত্যুপরপারে । তারি অঙ্গে ঐকেছিল পত্রলিখা আম্রমঞ্জরীর রেণু, ঐকেছে পেলাব শেফালিকা সুগন্ধি শিশিরকণিকায় ; তারি সূক্ষত্র উত্তরীতে গোথেছিল শিল্পকারু প্ৰভাতের দোয়েলের গীতে চকিত কাকলিসূত্রে ; প্রিয়ার বিহবল স্পর্শখানি সৃষ্টি করিয়াছে তার সর্বদেহে রোমাঞ্চিত বাণী, নিত্য তাহা রয়েছে সঞ্চিত । যেথা তব কর্মশালা সেথা বাতায়ন হতে কে জানি পর্যায়ে দিত মালা আমার ললাট ঘোরি সহসা ক্ষণিক অবকাশে, সে নাহে ভূত্যের পুরস্কার ; কী ইঙ্গিতে কী আভাসে মুহুর্তে জানায়ে চলে যেত অসীমের আত্মীয়তা অধরা অদেখা দূত, বলে যেত ভাষাতীত কথা অপ্ৰয়োজনের মানুবেরে । সে মানুষ, হে ধরণী, তোমার আশ্রয় ছেড়ে যাবে যবে, নিয়ো তুমি গনি