পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ver রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ऊँीथशांखिी তীর্থের যাক্রিণী ও যে, জীবনের পথে শেষ আধিক্রোশটুকু টেনে টেনে চলে কোনোমতে । হাতে নামজাপ-কুলি, পাশে তার রয়েছে পুটুলি । ভোর হতে ধৈৰ্য ধরি বসি ইস্টেশনে অস্পষ্ট ভাবনা আসে মনেআর কোনো ইস্টেশনে আছে যেন আর কোনো ঠাই, যেথা সব ব্যৰ্থতাই অপনয় হারানো অর্থেরে ফিরে পায়, যেথা গিয়ে ছায়া কোনো-এক রূপ ধরি পায় যেন কোনো-এক কায়া । বুকের ভিতরে ওর পিছু হতে দেয় দোল আশৈশব-পরিচিত দূর সংসারের কলরোল ; প্ৰত্যাখ্যাত জীবনের প্রতিহত আশা অজানার নিরুদ্দেশে প্রদোষে খুজিতে চলে বাসা । যে পথে সে করেছিল যাত্রা একদিন সেখানে নবীন আলোকে আকাশ ওর মুখ চেয়ে উঠেছিল হেসে । সে পথে পড়েছে আজ এসে অজানা লোকের দল, তাদের কাঠের ধবনি ওর কাছে ব্যৰ্থ কোলাহল । যে যৌবন যথানি একদিন পথে যেতে বল্লাভেরে দিয়েছিল আনি মধুমন্দিরার রসে বেদনার নেশা দুঃখে-সুখে-মেশা সে রসের রিক্ত পাত্রে আজ শুক অবহেলা, মধুপশু ওজনহীন যেন ক্লান্ত হেমন্তের বেলা । আজিকে চলেছে যারা খেলার সঙ্গীর আশে ওরে ঠেলে যায় পথপাশে ; যে খুজিছে দুৰ্গমের সাথি ও পারে না তার পথে জালাইতে বাতি डो*['बकुञ्भान् शंख्ठ দুৰ্যোগের রাতে । একদিন যারা সবে এ পথনির্মাণে লেগেছিল। আপনার জীবনের দানে