পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\)88 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী দূরযাত্রী নাম নিল দেবতার, তালা দিয়ে রুধিল দুয়ার । টেনে নিয়ে অনিচ্ছাচুক দেহটিত্রে দাড়ালো বাহিয়ে । উফোিৰ্বকালো আকাশের ইফাকা বঁট দিয়ে চলে গেল বাদুড়ের পাখা । যেন সে নির্মম অনিশ্চিত-পানে-ধাওয়া অদূটের প্রেতিচ্ছায়াসম । বৃদ্ধিবট মন্দিরের ধারে, অজগর-অন্ধকার গিলিয়াছে তারে । সদ্য-মাটি-কাটা পুকুরের পাড়ি-ধারে বাসা বাধা মজুরের খেজুরের পাতা-হাওয়া- ক্ষীণ আলো করে মিটমিট, পাশে ভেঙে-পড়া পাজা । তলায় ছড়ানো তার ইট । রজনীর মসীলিপ্তিমাকে লুপ্তরেখা সংসারের ছবি- ধান-কাটা কাজে সারাবেলা চাষীর ব্যস্ততা ; গল-ধরাধরি কথা মেয়েদের ; ছুটি-পাওয়া COMW4 CE. Thes: হৈহৈ, রবে ; হাটবারে ভোরবেলা বস্তা-বহা, গোরুটাকে তাড়া দিয়ে ঠেলা আঁমাকড়িয়া মহিষের গলা ওপারে মাঠের পানে রাখাল ছেলের ভেসে চলা । নিত্যজােনা সংসারের প্রাণলীলা না উঠিতে ফুটে যাত্রী লয়ে অন্ধকারে গাড়ি যায় ছুটে । GCVS GV5 99 পানাপুকুরের গন্ধ আসে, Cମ: ୩୯) ୩୫ ରାମ বহুদিনরাজনীর সকরুণ জিঙ্ক আলিঙ্গন । वाकार्दाकों काकिन রেলের স্টেশনপথে গেছে চলি ; দুই পাশে বাসা-সারি সারি ; নরনারী যে যাহার ঘরে রহিল আরামশয্যা-’পরে । নিবিড়-আঁধার-ঢালা আমবাগানের ফঁাকে অসীমের টিকা দিয়া বরণ করিয়া স্তৱন্ধতাকে শুকতারা দিল দেখা ।