পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপতী। S& আমার প্রজার জন্যে । অন্যায়ের হাত থেকে প্রজারীক্ষায় যদি মহিণীর অধিকার আমার না থাকে। তবে এ-সব তো বন্দিনীর বেশভূষা- এ বইতে পারব না। মহিষীকে যদি গ্ৰহণ করা সেবিকাকেও পাবে, नंशज त्०१ मानौ ! 6न आभि नश् । (а ја মীর প্রবেশ বিক্ৰম । যুদ্ধাজিতের নামে রানীর কাছে কে অভিযোগ করেছিল ? তুমি ? মন্ত্রী । মন্ত্ৰগৃহের বাইরে আমি মন্ত্রণা করি নে, মহারাজ ! বিক্ৰম । তবে এ-সব কথা কে তঁর কানে তুললে ? মন্ত্রী । যারা দুঃখ পেয়েছে তারা স্বয়ং। বিক্রম । রানীর সাক্ষাৎ তারা পায় কী করে । মন্ত্রী । করুণার যোগ্য যারা করুণাময়ী স্বয়ং তাদের সন্ধান রাখেন । বিক্ৰম । আমাকে অতিক্রম করে যারা রানীর কাছে আবেদন নিয়ে আসে তারা দণ্ডের যোগ্য এ কথা (शन (न् १ोंक । মন্ত্রী । দণ্ড তারা পেয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা তাদের পাকা ফসলের খেত জ্বালিয়ে দিয়েছে, এ কথা সবাই জানে । বিক্ৰম । মন্ত্রী, নানা কৌশলে তুমি এই অমাতাদের নামে নিন্দা করবার সুযোগ খোেজ, এটা আমি লক্ষ্য করেছি । মন্ত্রী । নিন্দনীয়দের নিন্দা করে থাকি কিন্তু কৌশল করে নয় । বিক্ৰম । এই বিদেশীরা আমার আশ্ৰিত, তোমাদের ঈর্ষা থেকে তাদের বিশেষভাবে রক্ষা করা আমার রাজকর্তব্য । মন্ত্রী । ওদের সম্বন্ধে নীরব থাকব । কিন্তু গুরুতর মন্ত্রণার বিষয় আছে । মহারাজ, ক্ষণকালের зi (elj বিক্ৰম । এখন সময় নয় । যাও, বিপাশাকে সংবাদ দাও আজ বকুলবীথিকায় মধ্যরাত্রে তার নৃত্য । ত্ৰিবেদীকে বোলো মীনকেতুর পূজায় মন্মোচ্চারণে তার কোনো স্বলন সহ্য করব না। মন্ত্রী । কাশ্মীরদেশী অমাত্য সবাই উৎসবে আসবেন সংবাদ পাঠিয়েছেন । বিক্ৰম । মহারানীর সঙ্গে কোনোমতে তাদের সাক্ষাৎ না হয়, সতর্ক থেকে । { উভয়ের প্রস্থান রাজভ্ৰাতা নরেশ ও সুমিত্রার সহচরী বিপাশার প্রবেশ বিপাশা। মানব না ও কথা । কাশ্মীর জয় করেছ তোমরা ! মানব না । নরেশ । সুন্দরী, অরসিক ইতিহাস মধুর কণ্ঠের সম্মতির অপেক্ষা রাখে না। বিপাশা। রাজকুমার, দাম্ভিক কণ্ঠের আম্ফালনের ভাষাও তার ভাষা নয়। নরেশ । কিন্তু তলোয়ারের সাক্ষ্য তো মানতে হবে। যমরাজকে সামনে রেখে সে কথা কয় । আমাদের মহারাজ কাশ্মীর জয় করেছেন । বিপাশা । করেন নি। আমাদের যুবরাজ ছিলেন অনুপস্থিত। মানস-সরোবর থেকে অভিষেকের জল আনতে গিয়েছিলেন । তাই যুদ্ধ হয় নি, দস্যবৃত্তি হয়েছিল। নরেশ । তার পিতৃব্য চন্দ্ৰসেন ছিলেন প্রতিনিধি । যুদ্ধ করেছিলেন । বিপাশা। যুদ্ধের ভান করেছিলেন । লুঠ-করা সিংহাসন হার-মানার ছদ্মমূল্যে নিজে কিনে নেবার জন্যে । তোমাদের সভাকবি এই নিয়ে সাত সৰ্গ কবিতা লিখেছেন । তোমাদের যুদ্ধ ফাঁকি, তোমাদের ইতিহাস ফাকি । চুপ করে হাসছ যে ! লজ্জা নেই !