পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

დyთNG} እb”ዒ জাহ্নবী তাই মুক্তধারায় উন্মাদিনী দিশা হারায় সংগীতে তার তরঙ্গদল উঠল। দুলে। রবির আলো সাড়া দিল আকাশপারে । শুনিয়ে দিল অভয়বাণী ঘরছাড়ারে । আপন স্রোতে আপনি মাতে, সাথি হল আপনি সাথে, সবহার সে সব পেল তার কুলে কুলে ৷ এই গান আমরা পাহাড়ে গাই বসন্তে যখন বরফ গলতে থাকে, ঝরনাগুলো বেরিয়ে পড়ে পথে-পথে । এই তো তার সময়- ফায়ুনের স্পর্শ লেগেছে পাহাড়ের শিখরে শিখরে, হিমালয়ের Çor Cos(\& CoCité ! নরেশ । খুব খুশি হয়েছ, বিপাশা ? বিপাশা। খুব খুশি আমি । নরেশ । কোনো দুঃখই বাজছে না তোমার মনে ? বিপাশা। এমন সুখ কোথায় পাব, কুমার, যাতে কোনো দুঃখ নেই। নরেশ । বন্ধন তো কাটল, এখন তুমি কী করবে। বিপাশা । যার সঙ্গে ঘরে ছিলাম তার সঙ্গেই পথে বেরব । নরেশ । তোমাকেও আর ফেরাতে পারব না ? বিপাশা। কী হবে ফিরিয়ে বন্ধু । হয়তো বাধতে গিয়ে ভুল করবেন। নরেশ । আচ্ছা যাও তুমি । আমার মন বলছে, মিলব একদিন । এখানে আমারও স্থান নেই । বিপাশা। কেন নেই, কুমার। নরেশ । মহারাজ স্থির করেছেন, কাশ্মীরে যুদ্ধযাত্রা করবেন- যুদ্ধে জয় করেই মহারানীকে ফিরিয়ে उ८ ।। বিপাশা । সেও ভালো । এমনি রাগ করেও যদি রাজার পৌরুষ জাগে তো সেও ভালো । নৱেশ। ভুল করছি বিপাশা। এ পৌরুষ নয়, এ অসংযম- ক্ষত্ৰিয়তেজ একে বলে না । যে উন্মত্ততায় এতদিন আপনাকে বিস্মৃত হতে লজ্জা পান নি এও সেই উন্মাদনারই রূপান্তর। কোনো আকারে মোহমাদকতা চাই, নিজেকে ভুলতেই হবে এই তার প্রকৃতি । মীনকেতুরই কেতনে রক্তের রঙ মাখাতে চলেছেন- কল্যাণ নেই। আমাকেও যেতে হল কাশ্মীরে । বিপাশা। লড়াই করতে ? নরেশ । মহারানীকে এই কথা জানাতে যে, যারা কাশ্মীরে যুদ্ধ করতে এসেছে তারা জালন্ধরের আবর্জনা, তাদের পাপে আমাদের সকলকে যেন তিনি অপরাধী না করেন । বিপাশা। যাবে তুমি ? সত্যি যাবে ? নরেশ । ইয়া, সত্যি যাব । বিপাশা । তবে আমিও তোমার পথের পথিক । নরেশ । তা হলে এ পথের অবসান যেন কখনো না হয় । বিপাশা । তুমি আর ফিরবে না ? নরেশ । ফেরবার দ্বার বন্ধ । রাজা আমাকে সন্দেহ করতে আরম্ভ করেছেন । অন্ধ সংশয়ের হাতে যেখানে রাজদণ্ড, রাজার বন্ধুদের স্থান সেখান হতে বহুদূরে । [উভয়ের প্রস্থান Y S } | SND