পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रदोश-ब्रध्नावली দ্বিতীয় নাগরিক সেই শূদ্ররা শাস্ত্র পড়ছেন আজকাল, হাত থেকে কাড়তে গেলে বলেন, আমরা কি মানুষ নই। তৃতীয় নাগরিক মানুষ নাই ! বটে ! কতই শুনব কালে কালে । কোনদিন বলবে, ঢুকাব দেবালয়ে । বলবে, ব্ৰাহ্মণক্ষত্ৰিয়ের সঙ্গে নাইবা এক ঘাটে । প্ৰথম নাগরিক এর পরেও রথ যে চলছে না, সে আমাদের প্রতি দয়া করে । চললে চাকার তলায় ওঁড়িয়ে যেত বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড । প্ৰথম সৈনিক আজ শূদ্র পড়ে শাস্ত্ৰ, কাল লাঙল ধরবে ব্ৰাহ্মণ । সর্বনাশ ! दिीश Cननिक চল-না ওদের পাড়ায় গিয়ে প্রমাণ করে আসিওরাই মানুষ না আমরা । দ্বিতীয় নাগরিক এ দিকে আবার কোন বুদ্ধিমান বসেছে রাজাকেকলিযুগে না চলে শাস্ত্ৰ, না চলে শত্র, চলে কেবল স্বর্ণচক্ৰ । তিনি ডাক দিয়েছেন শেঠজিকে । প্ৰথম সৈনিক রথ যদি চলে বেনের টানে তবে গলায় অত্র বেঁধে জলে দেব ডুব । हिीन मनिक দাদা, রাগ করা মিছে, সময় হয়েছে বাকা । এ যুগে পুষ্পধনুর ছিলেটাও বেনের টানেই দেয় মিঠে সুরে টংকার । তার তীরগুলোর ফলা বেনের ঘরে শানিয়ে না। আনলে ঠিক জায়গায় বাজে না বুকে । তৃতীয় সৈনিক তা সত্যি । এ কালের রাজত্বে রাজা থাকেন সামনে, পিছনে থাকে বেনে । যাকে বলে অর্থ-বেনে-রাজেশ্বর মূর্তি । সন্ন্যাসীর প্রবেশ প্ৰথম সৈনিক এই-যে সন্ন্যাসী, রথ চলে না কেন আমাদের হাতে ।