পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখতে দেখতে ছাড়ায় দাড়ি । ভদ্র সীমার মাত্র নাপিত খুঁজতে করল হাবল রাওলপিণ্ডি যাত্ৰা । উরদু ভাষায় হাজাম এসে বকল আবাল-তাবল । তিক্লিশটা খুর একে একে ভাঙল যখন পটাৎ কামারটুলি থেকে নাপিত আনল তখন হঠাৎ যা হাতে পায় খাড়া বঁটি কোদাল করাত সাবল । V নিধু বলে আড়চোখে “কুছু নেই। পরোয়াশ্ৰী দিলে গলায় দড়ি, বলে, “এটা ঘরোয়া ।” দারোগাকে হেসে কয়, “খবরটা দিতে হয়পুলিস যখন করে ঘরে এসে চড়োয় । বলে, চরণের রেণু নাহি চাহিতেই পেনুএই বলে নিধিরাম করে পায়ে-ধারোয়া । নিধুবাকা করে ঘাড় ওড়নাটা উড়িয়ে । বলে, “মোর পাকা হাড়, যাব নাকো বুড়িয়ে । যে যা খুশি কারুক-না, মারুক-না। ধরুক-না, তাকিয়াতে দিয়ে ঠেস দেব সব তুড়িয়ে ।” গালি তারে দিলে লোকে হাসে নিধু আড়াচোখে ; বলে, ‘দাদা, আরো বলো, কান গেল জুড়িয়ে । পিসে হয় কুলদার, ভুলুদার কাকা সেআড়চোখে হাসে আর করে ঘাড় বঁকা সে । যাবে গিয়ে শালিখায় ১ ". সাহেবের গালি খায়, ‘কেয়ার করি নে” বলে তুড়ি মারে আকাশে । যেদিন ফয়জাবাদে পত্নী কুঁপিয়ে কঁাদে, “তবে আসি” বলে হাসি চলে যায় ঢাকা সে । ve)