পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Str8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ভিক্ষুক শিবের বরেই রাবণের স্বৰ্ণলঙ্কা । কিন্তু আশুন কোন লাগে। সে লকায় । সে যে করলে ভিক্ষে বন্ধ । লাগিল জমাতে । দিতে যেমনি পারলে না, যেমনি লাগিল কাড়তে, অমনি ঘটল সর্বনাশ । ভিক্ষু দেবতা জ্বারে বসে ইহাকেন, দেহি দেহি । তবু আমরা কোণে বসে আছি নেংটি পরে, দেব বঁটাই বা । কেউ বা লোভে পড়ে ভাঙতে চায় না জমানো ধন । তবে কি যুরোপখণ্ডকে বলবে শিবের চেলা । বলতে হয় বৈকি । নইলে এত উন্নতি কেন । মেনেছে। ওরা মহাভিক্ষুর দাবি । তাই বের করে আনছে নব নব সম্পদ&CSA SC SG NGN অশান্তিও তো কম দেখছি নে ওদের মধ্যে । যখন শিবের ভোগ ভেঙে নিজের দিকে চুরি করে উৎপাত বাধে তখন অশিবের । ত্যাগের ধনে মানুষ ধনী, চুরির ধনে নয় । আমরা কুঁড়ে, ভিক্ষুক দেবতাকে দিই নে কিছু । তাই মরছি সব দিকেই।-- খেতে ফসল যায় মরে, পুকুরে জল যায় শুকিয়ে, দেহে ধরে রোগ, মনে ধরে অবসাদ, বিদেশী রাজা দেয় দুই কান মলে । শিবের কুলি ভরব যেদিন, সেদিন আমাদের সব ভরবে । কিন্তু গোড়ায় বলছিলে যে রসের কথাটা শিবের কুলিতে তো তার খবর মেলে না । মেলে বৈকি । গাছের ত্যাগ ফল দিয়ে । यpद्धत यPद्धन ना ब्रायन का चढ़ित । প্ৰাণের ধনই হল আনন্দ, যাকে বলি রস । যেখানে রসের দৈন্য, ভরে না সেখানে প্ৰাণের কমণ্ডলু । শ্মশানে কোন দেখি তোমার ঐ দেবতাকে । মৃত্যুতে তার বিলাস বলে নয়, মৃত্যুকে জয় করবেন বলে । যে দেবতারা অমরাবতীতে