পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●bró যুবতী মীর প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করিয়া কোনো আখীয়া তাহাকে ভৎসনা করিলে ভূপতি একবার সচেতন হইয়া কহিল, “তই তো, চারুর একজন কেউ সঙ্গিনী থাকা উচিত, ও বেচারার কিছুই कदिाम्न नछ ।" শ্যালকা উমাপতিকে কহিল, “তোমার গ্রীকে আমাদের এখানে আনিয়া রাখে-না- সমবয়সি স্ত্রীলোক কেহ কাছে নাই, চারুর নিশ্চয়ই ভারি ফাকা ঠেকে ।” শ্ৰীসঙ্গের অভাবই চারুর পক্ষে অত্যন্ত শোকাবহু, সম্পাদক এইরূপ বুঝিল এবং শ্যালকজায়া মন্দাকিনীকে বাড়িতে আনিয়া সে নিশ্চিন্ত হইল । যে সময়ে স্বামী শ্ৰী প্রেমোন্মেষের প্রথম অরুণালোকে পরস্পরের কাছে অপরূপ মহিমায় চিরনূতন বলিয়া প্রতিভাত হয়, দাম্পত্যের সেই স্বর্ণপ্ৰভামণ্ডিত প্ৰত্যুফকাল অচেতন অবস্থায় কখন অতীত হইয়া গেল কেহ জানিতে পারিল না। নূতনত্বের স্বাদ না পাইয়াই উভয়ে উভয়ের কাছে পুরাতন পরিচিত অভ্যন্ত হইয়া গেল । লেখাপড়ার দিকে চারুলতার একটি স্বাভাবিক বেঁক ছিল বলিয়া তাহার দিনগুলো অত্যন্ত বোঝা হইয়া উঠে নাই। সে নিজের চেষ্টায় নানা কৌশলে পড়বার বন্দোবন্ত করিয়া লইয়াছিল। ভূপতির পিসতুতো ভাই অমল থার্ড-ইয়ারে পড়িতেছিল, চারুলতা তাহাকে ধরিয়া পড়া করিয়া লইত ; এই কর্মটুকু আদায় করিয়া লইবার জন্য অমলের অনেক আবদার তাহাকে সহ্য করিতে হইত। তাহাকে প্রায়ই হােটেলে খাইবার খোরাকি এবং ইংরেজি সাহিত্যগ্রন্থ কিনিবার খরচা জোগাইতে হইত। অমল মাঝে মাঝে বন্ধুদের নিমন্ত্ৰণ করিয়া খাওয়াইত, সেই যজ্ঞ-সমাধারা ভার গুরুদক্ষিণার স্বরূপ চারুলতা নিজে গ্রহণ করিত। ভূপতি চারুলতার প্রতি কোনো দাবি করিত না, কিন্তু সামান্য একটু পড়াইয়া পিসতুতো ভাই অমলের দাবির অন্ত ছিল না। তাহা লইয়া চারুষতা প্রায় মাঝে মাঝে কৃত্রিম কোপ এবং বিদ্রোহ প্ৰকাশ করিত ; কিন্তু কোনো একটা লোকের কোনো কাজে আসা এবং স্নেহের উপদ্ৰব সহ্য করা তাহার পক্ষে অত্যাবশ্যক হইয়া উঠিয়াছিল । অমল কহিল, “বোঠান, আমাদের কলেজের রাজবাড়ির জামাইবাবু রাজঅন্তঃপুরের খাস হাতের কুননি কাপোেটর জুতো পরে আসে, আমার তো সহ্য হয় না- একজোড়া কাপোেটর জুতো চাই, নইলে কোনোমতেই পদমৰ্যাদা রক্ষা করতে পারছি নে ৷” চারু । ই, তাই বৈকি ! আমি বসে বসে তোমার জুতো সেলাই করে মরি। দাম দিচ্ছি, বাজার থেকে কিনে আনো গে যাও । অমল বলিল, “সেটি হচ্ছে না।” চারু জুতা সেলাই করিতে জানে না, এবং অমলের কাছে সে কথা স্বীকার করিতেও চাহে না । কিন্তু তাহার কাছে কেহ কিছু চায় না, অমল চায়- সংসারে সেই একমাত্র প্রার্থীর প্রার্থনা রক্ষা না করিয়া সে থাকিতে পারে না। অমল যে সময় কলেজে যাইত সেই সময়ে সে লুকাইয়া বহু যত্নে কাপোেটর সেলাই শিখিতে লাগিল। এবং অমল নিজে যখন তাহার জুতার দরবার সম্পূর্ণ ভুলিয়া বসিয়াছে এমন সময় একদিন সন্ধ্যাবেলায় চারু তাহাকে নিমন্ত্ৰণ করিল। শ্ৰীষ্মের সময় ছাদের উপর আসন করিয়া অমলের আহারের জায়গা করা হইয়াছে। বালি উড়িয়া পড়িবার ভয়ে পিতলের ঢাকনায় থালা ঢাকা রহিয়াছে। অমল কলেজের বেশ পরিত্যাগ করিয়া মুখ ধুইয়া ফিট্‌ফটী হইয়া আসিয়া উপস্থিত হইল। অমল আসনে বসিয়া ঢাকা খুলিল ; দেখিল, থালায় একজোড়া নূতন বাধানো পশমের জুতা সাজানো রহিয়াছে। চারুলতা উচ্চৈঃস্বরে হাসিয়া উঠিল । জুতা পাইয়া অমলের আশা আরো বাড়িয়া উঠিল। এখন গলাবন্ধ চাই, রেশমের রুমালে ফুলকাটা পাড় সেলাই করিয়া দিতে হইবে, তাহার বাহিরের ঘরে বসিবার বড়ো কেনারায় তেলের দাগ নিবারণের Ufa Ag3 pTU7-yt VfKST Vffy LsBLBLB BD DBLSLrB LBB LBSLKTBLTBB BBBB LL LLLLLBB BBB BB LLLLGL LLLL